লালমনিরহাট জেলা প্রতিনিধিঃ-
রবিবার (২৯ অক্টোবর) হরতালের সমর্থনে বিএনপি-জামায়াতের পিকেটিং থেকে লালমনিরহাট সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য জাহাঙ্গীর আলীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যার প্রতিবাদে জেলা আওয়ামী লীগ প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে।
সন্ধ্যায় লালমনিরহাট বিডিআর গেট এলাকায় প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করে জেলা আওয়ামী লীগ। এতে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট সফুরা বেগম রুমি, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মতিয়ার রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলামসহ অন্যান্য নেতারা।
প্রতিবাদ সমাবেশে থেকে বক্তারা জেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক উপমন্ত্রী আসাদুল হাবিব দুলুকে সন্ত্রাসের ‘গডফাদার’ আখ্যা দিয়ে তাকে দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানান। পরে একটি বিক্ষোভ মিছিল শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
আওয়ামী লীগের মিছিল থেকে লালমনিরহাট মিশন মোড়স্থ এলাকায় বিএনপির অস্থায়ী দলীয় কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে বলে বিএনপির পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে।
এদিকে, আদিতমারী উপজেলা আওয়ামী লীগের বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা ধাওয়া দিয়ে বুড়িরবাজারস্থ বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে পিকেটারদের সরিয়ে দিয়ে সাইনবোর্ড ও চেয়ার ভাঙচুর করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
আদিতমারী থানার ওসি মোজাম্মেল হক বলেন, ‘লালমনিরহাটে আওয়ামী লীগের একজন নেতাকে বিএনপির পিকেটাররা কুপিয়ে হত্যার খবর ছড়িয়ে পড়লে আদিতমারী উপজেলা আওয়ামী লীগের বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের সামনে গিয়ে কয়েকটি চেয়ার ভাঙচুর করে। পরে পুলিশ গিয়ে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সেখান থেকে সরিয়ে দেয়।’
সদর থানার ওসি মো. ওমর ফারুক বলেন, ‘লালমনিরহাটের গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে মোড়ে পুলিশি নিরাপত্তা রয়েছে। মিশন মোড়ে জেলা বিএনপির অস্থায়ী দলীয় কার্যালয়ে কে বা কারা অগ্নিসংযোগ করেছে। খবর পেয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করেছি। অপরাধীদের আইনের আওতায় আনার চেষ্টা করছি।’
জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান বাবলা অভিযোগ করে বলেন, ‘সদর উপজেলার মহেন্দ্রনগর বুড়িরবাজারে জাহাঙ্গীর আলী নামে এক ব্যক্তির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা জেলা বিএনপির অস্থায়ী কার্যালয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে। একইভাবে আদিতমারী উপজেলা বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের ব্যানার, সাইনবোর্ড ও চেয়ার ভাঙচুর করেছে।’
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘জেলা বিএনপির সভাপতি আসাদুল হাবিব দুলু সন্ত্রাসের গডফাদার। তাকে দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি করছি। জাহাঙ্গীরকে হত্যায় জড়িতদের সিসিটিভি ফুটেজ দেখে অপরাধীদের চিহ্নিত করে তাদেরকে গ্রেফতার করা হোক। দুলুসহ অপরাধীদের গ্রেফতারে সময়ক্ষেপণ করা হলে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা আর ঘরে বসে থাকবে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিএনপির নেতাকর্মীরা নিজেরা তাদের দলীয় কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগ করে বাঁচার জন্য আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে দোষ দেওয়ার চেষ্টা করছে। যেন তারা কাউন্টার মামলা করতে পারে। এই অপচেষ্টায় তারা উতরে যেতে পারবে না
Leave a Reply