সুজন চক্রবর্তী, আসাম ( ভারত) প্রতিনিধিঃ-
মাকে কুঠার দিয়ে হত্যা করে ঘরের মেঝেতে রেখে ২ দিন কাটিয়ে ছিল ছেলে। সোমবার (৬ নভেম্বর বিদ্যুৎ কর্মী বাড়িতে বিল দিতে এলে এই লোমহর্ষক ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসে। ঘটনাটি ভারতের আসাম সীমান্ত ঘেঁষা উত্তর ত্রিপুরা জেলার ধর্মনগর থানাধীন রাধাপুরের। নিজের জন্মদাত্রী মাকে কুঠারঘাত করে রক্তাক্ত মৃতদেহ ঘরের মেঝেতে ফেলে রেখে নিজের বিছানায় সুখে নিদ্রায় আচ্ছন্ন ছিল ছেলে। জানা যায়, সোমবার (৬ নভেম্বর ) সকাল আনুমানিক সাড়ে ১১ টায় রাধাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ৩নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা শান্তি নাথ (৬৫) এর বাড়িতে বিদ্যুৎ দপ্তরের এককর্মী বিদ্যুতের বিল করতে আসলে। তখন সে দেখতে পায় ঘরের দরজা ভেতর থেকে বন্ধ এবং ঘরের বাইরে কিছু রক্ত পড়ে রয়েছে। তখন সে বিষয়টি স্থানীয়দের অবগত করে এবং স্থানীয়রা সঙ্গে সঙ্গে ধর্মনগর থানার পুলিশকে জানান। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন ধর্মনগর থানার পুলিশ ও ধর্মনগর মহকুমা পুলিশ আধিকারিক দেবাশীষ সাহা ও। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ডাকাডাকি করলে ঘরের ভেতর থেকে বাড়ির মালিক তথা মৃত মহিলার ছেলে রাজু নাথ সাড়া দিয়ে সে প্রথমে দরজা খুলতে রাজি হয়নি। পরে পুলিশ এই যুবককে কৌশলে ফুসলিয়ে ঘরের দরজা খুললে দেখা যায় ঘরের মেঝেতে শান্তি নাথের রক্তাক্ত মৃতদেহ পড়ে রয়েছে। এতে সঙ্গে সঙ্গেই পুলিশ মৃতার ছেলে রাজুকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। এবং পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ধর্মনগর জেলা হাসপাতালেল মর্গে পাঠানোর ব্যবস্থা করে। মহকুমা পুলিশ আধিকারি দেবাশিস সাহা সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, মৃতার ছেলে পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে তার অপকর্মের কথা স্বীকার করেছে। সে জানিয়েছে, ২ দিন আগে একটি কুঠার দিয়ে তার মাকে হত্যা করেছে।তারপর থেকে সে মায়ের মৃতদেহ মেঝেতে রেখেই ঘরের মধ্যে দিনযাপন করছিল। অপরদিকে স্থানীয় জনগণ জানান, রাজু এর আগেও অনেক মহিলাকে মারধর করেছে।