সালমা আক্তার দাউদ কান্দি (কুমিল্লা) প্রতিনিধিঃ-
গতকাল ১৫ নভেম্বর,২০২৩ রোজঃবুধবার আদালতে পলাতক আসামী ৪ জন আদালতে আত্ম সমার্পন পূর্বক জামিন আবেদন করলে আদালত মামলার শুনানি শেষে ৪ জনের মধ্যে ৩জন আসামীকে জামিন দেন। আদালত ১নং আসামী স্বপন সরদারের জামিন না-মন্জুর করে জেল হাজতে প্রেরন করেন। জামিন প্রাপ্ত ৩ আসানী(১)হেদায়েতুল(২)শাহিনা(৩)সোহাগ উক্ত ৩ আসামী
বাদীর উপর ক্ষিপ্ত হয়ে বিচারকার্য চলাকালীন সময়ে আদালতে বাহিরে মামলার বাদীনি সালমা আক্তার কে দেখে জামিন প্রাপ্ত ৩ আসামী মামলার বাদীনির সালমা আকতার কে মারধর করে রক্তাক্ত জখম করে আদালত বিষয়টাকে আমলে নিলে আসামীকে তাদের উকিল নিয়ে আসার জন্য বলার স্বত্তেও আসেনি মামলার বাদীনি সামলা আকতার জানান। পরর্বতীতে মামলার বাদীনি কে কুমিল্লা সদর মেডিকেল হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য হয় জানা গেছে। বাদীনি মামলা দায়ের করার প্রক্রিয়াধীন রয়েছে জানা যায়।
আদালতে সুত্রে জানা যায়,আসামী স্বপন সরদার বাদীনি কাপড়ের দোকানের মালামাল আনা-নেওয়ার দায়িত্বে নিয়োজিত ছিলো, এক পর্যায়ে আসামী স্বপন সরদার মামলার বাদীনীকে কুপ্রস্তাব দেয়, আসামী স্বপন সরদারের কুপ্রস্তাব বাদীনি প্রত্যাখ্যান করায় আসামী স্বপন সরদার বাদীনির উপর ক্ষিপ্ত হয়ে বাসায় ডাকাতি ও হামলা চালায় এবং জোরপূর্বক বাদীনিকে ধর্ষনের চেষ্টা। উক্ত ঘটনায় জের ধরে নারী শিশু ট্রাইব্যুনালে ৯/১ মামলা দায়ের করেন। বাদীনি নারী শিশু অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মামলা করিলে আসামি স্বপন সরদার তার অপর ৩ সহযোগী সোহাগ,শাহিনা,হেদায়েতুল সহ বাদীনি সালমা আকতারের অবর্তমানে তার ৬ বছরের ছেলে তাহমিদকে বাসা থেকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। অপহরণের ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার জন্য, চলন্ত একটি বাসের নিচে আসামীরা বাদীনির ছেলে তাহমিদ ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়, এ ঘটনায় আসামীদের বিরুদ্ধে সিআইডি ব্রাঙ টিম বিষয়টা আমলে নিয়ে ৩২৬ /৩২৫/৩২৩ /৩০৭ ধারায় আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন। পরবর্তীতে আদালত উক্ত মামলায় আসামীদের বিরুদ্ধে গ।গ্রেপ্তারী পরোয়ানা জারি করেন, ১৫ /১১/২৩ইং আসামিরা আদালতে এসে জামিন আবেদন করিলে আদালত ২/৩/৪ নং আসামিকে অস্থায়ী জামিন দেয়, ১নং আসামীর জামিন না-মন্জর করে জেল হাজতে প্রেরণ করেন।