কে এম ইউসুফ (হাটহাজারী) চট্টগ্রামঃ-
চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে সড়ক দুর্ঘটনায় এক যুবক নিহত হয়েছেন। নিহতের নাম হাসান তারেক (২৫), তিনি মেখল ১নং ওয়ার্ডের গিয়াস চেয়ারম্যান বাড়ীর মো. আলীর পুত্র। গত আগস্টে (৪ মাস পূর্বে) মাত্র তিনি বিয়ে করেছেন, শ্রমিক হিসেবে নানা ধরনের কাজ করতেন।
চট্টগ্রাম-রাঙ্গামাটি মহাসড়কের হাটহাজারী উপজেলাধীন মেখল ইউনিয়ন এলাকার জান আলী চৌধুরী বাড়ীর সামনে আজ শনিবার (৯ ডিসেম্বর) এই দুর্ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, জন্মের পর হতে বাবার মুখ না দেখা মায়ের একমাত্র সন্তান তারেক সকালের দিকে জীবিকার তাগিদে ঘর থেকে বের হয়। কাজে যাওয়ার সময় উল্লেখিত স্থান (রাস্তার উপর রাখা ইট, কংকর, বালির স্তুুপ) পার হয়ে যাওয়ার সময় চট্টগ্রাম হতে রাঙ্গামাটিমুখী একটি মাছভর্তি পিকআপ তাকে পেছন দিক থেকে ধাক্কা দিয়ে চলে যায়। স্থানীয়রা গুরুতর আহত তারেককে উদ্ধার করে হাটহাজারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে তার মাথায় আঘাত গুরুতর অভিহিত করে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করে। পরক্ষণেই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তারেক মৃত্যু ঘটে।
বিকেলে নিহতের বাড়ীতে গিয়ে দেখা যায়, তার মায়ের গগনবিদারী আর্তনাদ। বিলাপ করতে করতে বলছেন- 'আমি কি নিয়ে বাঁচবো, কে দেখবে আমাকে''
তারেকের বন্ধু সাজিদ বলেন, তারেকের জন্মের পূর্বেই তার বাবা তাদেরকে রেখে নিরুদ্দেশ হন। আজ পর্যন্ত তার কেনো খোঁজ খবর নেই। মানুষের বাড়িতে বাড়িতে কাজ করতেন তার মা। তারেকও দৈনিক শ্রমিক হিসেবে কাজ করতো। মাত্র ৪ মাস পূর্বে বিয়ে করে সে। তারেকের এমন মৃত্যুতে নির্বাক তার মা।
রাউজান হাইওয়ে থানার ইনচার্জ মোজাম্মেল হক দূর্ঘটনার ব্যাপারে বলেন, এ ঘটনায় একটি মামলার প্রক্রিয়া চলছে। আর ঘাতক পিকাপটি আটকের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
জানতে চাইলে মেখল ইউপি চেয়ারম্যান সালাউদ্দিন চৌধুরী সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতের পরিবারের দূরাবস্থার কথা নিশ্চিত করে বলেন- 'পূর্বে একবার ভ্রাম্যমান আদালত জরিমানা করে মহা সড়কে স্তুপ করে রাখা বালি সরিয়ে নিতে নির্দেশ করেছিলো ভ্রাম্যমান আদালত, জরিমানাও করেছে। কিন্তু দন্ডিত ব্যক্তি ম্যাজিস্ট্রেটের আদেশের তোয়াক্কা না করে উল্টো আরও কিছু সামগ্রী রাস্তায় এনে স্তুপ করেছে। যার কারনেই এ দুর্ঘটনা"