ডেস্ক রিপোর্টঃ-
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা এখন স্থিতিশীল। দীর্ঘদিন রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসনকে মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) বিকালে করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) নেওয়া হয়। পরে ওইদিন সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে তাকে ফের কেবিনে আনা হয়েছে।
এ বিষয়ে বিএনপির চেয়ারপারসনের চিকিৎসক দলের সদস্য অধ্যাপক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন বলেন, ‘মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ম্যাডামের স্বাস্থ্যের অবনতি হলে সিসিইউতে নেওয়া হয়েছিল। পরে আবার কেবিনে নেওয়া আনা হয়। এখন শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল।’
বুধবার (১০ জানুয়ারি) বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান,দৈনিক প্রতিদিনের বার্তাকে বলেন, ‘বিএনপির চেয়ারপার্সনের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল, তবে বাসায় নেওয়ার বিষয়ে এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি।’
বিএনপির এক সূত্র বলছে, বর্তমানে খালেদা জিয়া শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল থাকায় এক সপ্তাহের মধ্যে তাকে হাসপাতাল থেকে বাসায় নেওয়া হতে পারে।
২০১৮ সালে দুর্নীতির মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে কারাবন্দির পর খালেদা জিয়ার শারীরিক নানা অসুস্থতা দেখা দেয়। পরে বিশেষ বিবেচনায় তাকে বাসায় থাকার অনুমতি দেওয়া হয়। ৭৭ বছর বয়সী এই সাবেক প্রধানমন্ত্রী দীর্ঘদিন ধরে আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, কিডনি, লিভার সিরোসিসহ নানা রোগে ভুগছেন। ইতোমধ্যে কয়েকদফা হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।
সর্বশেষ ২০২৩ সালের ৯ আগস্ট থেকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের ভর্তি আছেন খালেদা জিয়া। এর মাঝে শারীরিক অবস্থা আরও অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নিতে তার পরিবার থেকে সরকারের কাছে কয়েকদফা আবেদন করা হলেও অনুমতি মেলেনি।
এমন পরিস্থিতিতে গত ২৭ অক্টোবর যুক্তরাষ্ট্র থেকে তিন জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক এনে ঢাকায় এভারকেয়ার হাসপাতালে বিএনপি নেত্রীর রক্তনালিতে অস্ত্রোপচার করা হয়। খালেদা জিয়ার চিকিৎসার তত্ত্বাবধানে আছেন এভারকেয়ার হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক সাহাবুদ্দিন তালুকদার