আরিফ মিয়া, স্টাফ রিপোর্টারঃ-
দেশের ‘লাইফ লাইন’ খ্যাত ঢাকা–চট্টগ্রাম মহাসড়কে বৃদ্ধ পুরুষ মহিলা নিয়ে ফুটওভার ব্রিজ থাকলে ও নিচ দিয়ে জীবন ঝুঁকি নিয়ে রাস্তা পার হচ্ছেন। তার সঙ্গে সঙ্গে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী একইভাবে পার হলেন।
গতকাল সোমবার (১৪ জানুয়ারি ) বিকেল ৪ টার দিকে মহাসড়কের চিটাগাংরোডের শিমরাইল অংশের দৃশ্য এটি। কেন এভাবে ঝুঁকি নিয়ে রাস্তা পার হচ্ছেন— জানতে চাইলে আবু সাইদ নামে এক পথচারী বলেন, ‘ভাই এখান দিয়ে তাড়াতাড়ি যাওয়া যায়-আসা যায়। ব্রিজে উঠতে বেশ সময় লাগে। ওঠা-নামা বেশ ঝামেলার। কিছু দূর ঘুরে আসতে হয়। আগে আমরা কুমিল্লার দিক থেকে আসার সময় চিটাগাং রোড স্ট্যান্ডে নামতে পারতাম, কিন্তু এখন আমাদের ডিভাইডার দিয়ে বন্ধ করে রাখছে।খোলা থাকা অবস্থায় সুবিধা হতো। ঝুঁকির চিন্তা করে কী লাভ? অনেক দিন ধরে তো এভাবে অভ্যস্ত হয়ে গেছি। আল্লাহ মরণ কপালে রাখলে কেউ ঠেকাতে পাররে না ভাই।’
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের শিমরাইল চিটাগাংরোডের অংশে সরেজমিন প্রায় ৩ টি ফুটওভার ব্রিজে গিয়ে দেখা যায়, প্রতিদিন শত শত মানুষ এ রকম ঝুঁকি নিয়ে পার হচ্ছেন ব্যস্ততম মহাসড়ক। ফুটওভার ব্রিজ থাকলেও এর ওপর দিয়ে মানুষের যাতায়াতে বেশ অনীহা। সড়ক বিভাজনটি পার হয়েই ফাঁকা পেলে দৌঁড়ে সড়কের ওপারে চলে যাচ্ছেন অনেকে।
রাস্তা পারাপারে এই বাড়তি সময় ব্যয় করাটাই হয়ত অনীহার কারণ পথচারীদের। ফুটওভার ব্রিজ পার হয়ে রাস্তার ওপারে যাওয়ার চেয়ে ঝুঁকি নিয়ে পার হতে স্বাচ্ছন্দবোধ করে সবাই। অথচ একটু হেঁটে ওভার ব্রিজ হয়ে ঝুঁকি ছাড়াই রাস্তা পার হওয়া যায়।
সোনারগাঁও থেকে চিটাগাংরোড এলাকায় সুগন্ধা মেডিকেল হসপিটালে চিকিৎসা নিতে আসা মো: খায়ের মিয়া বলেন, ‘বাস ড্রাইভাররা ফুটওভার ব্রিজ থেকে আরও আগে এসে নামিয়ে দিয়েছে। এখন যদি আবার হেটে ব্রিজের কাছে যাই, তাহলে সময়ও লাগবে। তাই সবার সঙ্গে ঝুঁকি নিয়ে রাস্তা পার হচ্ছি। শর্টকাটে নিচ দিয়ে পার হলে কষ্ট এবং সময় কম লাগে।’
নোয়াখালী চন্দ্রগঞ্জ থেকে আসা ইকোনো বাসের যাত্রী মোহাম্মদ তানভীর হোসেনের কাছে ঝুঁকির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, দেশে থেকে আসলাম। ইকোন গাড়িটি যাবে ঢাকায় তাই দুটি ডিভাইডারের মাঝখানে আমাকে নামিয়ে দিয়েছে ফুটওভার ব্রিজের অনেক আগে তাই এভাবে পারাপার হতে হচ্ছে ‘গাড়ি যখন চলাচল করে তখন তো পার হই না। গাড়ি না থাকলে পার হই। ছোটবেলা থেকে পার হতে হতে অভ্যাস হয়ে গেছে।’
শিমরাইল হাইওয়ে পুলিশ ক্যাম্পের টি আই একে এম শরফুদ্দিন বলেন,দুর্ঘটনার এড়াতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে দুঘর্টনাপ্রবন এলাকাতে সরকার ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণ করছে। এ ছাড়া পথচারীদের জনসচেতনতা বাড়াতে নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।আমাদের চোখে যখন পড়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ঝুঁকিপূর্ণভাবে মানুষ পারাপার হচ্ছে আমরা তাদের সচেতন করতে ফুটওভার ব্রিজ দেখিয়ে দিচ্ছি।
Leave a Reply