মোহাম্মদ জাকির লস্কর, মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধিঃ-
কোন ধরনের নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করেই মুন্সীগঞ্জ ৬টি উপজেলার প্রতিটি গ্রাম-গঞ্জের বাজার গুলোতে স্বর্ণ ব্যবসার আড়ালে চলছে জমজমাট সুদের ব্যবসা। সুদের ব্যবসা করে অনেকেই কোটি পতি বনে গেছে।
সরেজমিনে দেখাগেছে, অনেক স্বর্ন ব্যবসায়ী অলংকার তৈরীর নিজস্ব কোন সরঞ্জাদি ও কারিগর নেই। অথচ অলংকার তৈরীর সাইন বোর্ড সাটিয়ে স্বর্ন ব্যবসার আড়ালে চালিয়ে যাচ্ছেন জম জমাট সুদের ব্যবসা। শুধু তাই নয়, কিছু অসাধু স্বর্ন ব্যবসায়ী গ্রাহকদের সাথে বিভিন্ন কৌশলে প্রতারনা করছেন। অনেক ব্যবসায়ী বিদেশ থেকে বিভিন্ন ক্যারেট স্বর্ন আমদানির নাম করে গ্রাহকদের কাছে ভেজাল স্বর্ন বিক্রি করছেন।
এ নিয়ে জেলার বিভিন্ন গ্রাম-গঞ্জে ব্যবসায়ীদের সাথে গ্রাহকদের হরহামেসা দেন দরবার দেখা যায়। এছারা স্বর্ন ব্যবসার আড়ালে সুদের ব্যবসা করে রাতা-রাতি কোটি পতি হওয়ার আসায়। কিছু অলংকার তৈরীর কারিগর মাত্র দুই-তিন বছরে অলংকার তৈরীর কারিগর থেকে নিজেই স্বর্ন ব্যবসায়ী বনে যায়। অসহায় মানুষ টাকার প্রয়োজনে স্বর্ন বন্ধক রেখে টাকা নেয়। টাকা নেওয়ার সময় স্বর্ন ব্যবসায়ীরা গ্রাহককে নিদিষ্ট সময় সীমা বেধে দেয়। নিদিষ্ট সময়ের মধ্যে গ্রাহক সুদ-আসল সহ টাকা দিয়ে বন্ধুকী স্বর্ন ছারাতে না পারলে স্বর্ন ব্যবসায়ীরা গ্রাহককে আর বন্ধুকি স্বর্ন ফেরৎ দেয়নো বলে অভিযোগ রয়েছে। আবার কিছু স্বর্ন ব্যবসায়ী গ্রাহকের বন্ধুকি স্বর্ন অন্য স্বর্ন ব্যবসায়ী (মহাজন) কাছে দিগুন টাকায় গ্রাহকের স্বর্ন বন্ধক রেখে জমজমাট সুদের ব্যবসা করছে। গ্রাহক বন্ধুকি স্বর্ন ছারিয়ে নিতে এলে অসাধু ব্যবসায়িরা গ্রাহককে ভেজাল স্বর্ন দেয়।
এছারা জানা-যায়, জেলার বিভিন্ন গ্রাম-গঞ্জের কিছু অসাধু স্বর্ন ব্যবসায়ি রাতের আধারে পালিয়ে গেছে। রাজস্ব বোর্ডের নিয়ম অনুযায়ি স্বর্ন বিক্রির সময় প্রতিটি স্বর্ন ব্যবসায়ির মূল্য সংযোজন কর চালান বই থাকা বাধ্যতামুলক। স্বর্ন ব্যবসায়িরা যে পরমিান টাকার স্বর্ন বিক্রি করেন, সেই পরিমান টাকার উপর ক্রেতারা মূল্য সংযোজন কর প্রদান করলেও অসাধু স্বর্ন ব্যবসায়িরা সরকারের এ টাকা আত্মসাৎ করেন। মূল্যসংযোজন চালান বই-১১ অনুযায়ি, ব্যবসায়িরা সঠিক সময়ে সরকারকে কর পরিশোধ করল কিনা তা দেখভালের জন্য কর বিভাগের লোক থাকলেও কিছু অসৎ কর্মকর্তা ব্যবসায়িদের কাছ থেকে মাসহারা নিয়ে নিজের আখের দেখে।
এব্যাপারে শ্রীনগর স্বর্ন ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক সুমন দাসের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, স্বর্ণ সীমিতিতে আমরা স্বর্ণ বন্ধক রেখে সামান্য লাভে টাকা দেই। কিন্তু স্বর্ণ বন্দক রাখা ছাড়া অন্য কোন পথে টাকা দেয়া নেয়ার কোন নিয়ম নেই।
Leave a Reply