সিরাজুল ইসলাম,ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধিঃ-
বাংলাদেশের উওর অঞ্চল ঠাকুর গাঁও সূর্যকে তোয়াক্কা করে জেকে বসেছে শীত, মাঝে মাঝে সূর্যের লুকোচুরি, সাজের সকালে ঘন কুয়াশার আদলে ঢেকে গেছে জনজীবন মাঝে মাঝে বইছে হিম শীতল হাওয়া কাঁপুনির চোটে দিশেহারা ছেলে বুড়ো সবাই।তাইতো একটু শরীর কে গরম করতে আগুন পোহাচ্ছে ছেলে বুড়ো সবাই। দিন যতই গড়াচ্ছে ততই বাড়ছে শীতের মহড়া, শত ঠান্ডাকে পরওয়া করে কাজে সন্ধানে নিম্ন আয়ের সাধারণ মানুষ। অটোরিকশা চালক মো:আলমগীর জানান আগের তুলনায় ঠান্ডার কারণে যাত্রীরা কম উঠছে আগে যদি ও সারাদিন ভাড়া হতো ৫০০-৬০০ কিন্তু বর্তমানে কমে হয়েছে ৩০০-৪০০ হরিপুর কাঁঠাল ডাংগীর বাসিন্দা নুর মোহাম্মদ জানান আমি একজন দিন মুজুর, মানুষের মাঠে কাজ করে যা পাই তাই দিয়েই সংসার চলে কিন্তু ঠান্ডার কারনে বাইরে কাজে যেতে ও খুব কষ্ট হয় হাত পায়ে হিম ধরে যায়। এভাবে চলমান প্রচন্ড ঠান্ডায় আবহাওয়া তথ্য অফিসের মতে ঠাকুরগাঁওয়ের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২০ডিগ্রি সেলসিয়াসে উঠা নামা করছে। এদিকে বাজারে রাস্তার মোড়ে মোড়ে বসেছে গরম কাপড়ের দোকান গরম কাপড় কিনতে ভির জমাচ্ছে ক্রেতারা ও প্রচন্ড হিমশীতল ঠান্ডায় বেশির ভাগ অসুস্থ হচ্ছে বয়স্ক এবং শিশুরা পল্লী চিকিৎসক আকতারুল ইসলাম জানান বর্তমানে ঠান্ডা জনিত সমস্যার মধ্যে শিশুরা সর্দি-জ্বর কাশি নিউমোনিয়া ডায়রিয়া রোগে আক্রান্ত হচ্ছে বয়স্করা হচ্ছে শ্বাস কষ্ট জনিত রোগে। অপর পক্ষে বিদ্যালয় গুলোতে দেখা গেছে প্রচন্ড ঠান্ডার কারণে ছাত্র ছাত্রীর উপস্থিতি কিছুটা হলে ও কম। প্রধান শিক্ষক আজমল হোসেন জানান প্রচন্ড ঠান্ডার কারণে অভিভাবকরা কোমলমতি বাচ্চাদের আবাদত কম বিদ্যালয়ে পাঠাচ্ছে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আবার আগের মত বাচ্চারা বিদ্যালয় আসবে। শীতের কবলে পড়ে বিপর্যয়শত্ব জনজীবনে ছাড় পাচ্ছেনা গবাদি পশু ও কাপুনি ধরিয়ে হয়তো শীতের শেষ ইতি টানতে ঠান্ডার এত মহড়া।
।