মুন্সীগঞ্জ প্রতিবেদকঃ-
মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার মিরকাদিম পৌর শ্রমিক লীগের সহসভাপতি মো. জিল্লুর রহমানকে হত্যার ঘটনায় পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক মেয়র শহিদুল ইসলামকে প্রধান আসামি করে ২১ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। এ ঘটনায় মো. আরিফ নামে এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ বাকি আসামীরা ধরাছোঁয়ার বাইরে মামলার এজাহারে ভুক্ত উল্লেখ্য দেখা যায়, ১/ শহিদুল ইসলাম শাহিন (৫০) মৃত পিতা,নজরুল ইসলাম। ২/ লিটন মিয়া (৫০) মৃত পিতা, শাহআলম মিয়া। ৩/ বাবুল (৫৫) পিতা, বাহালুল মিয়া। ৪/ সম্পদ (২৬) পিতা, সাধু বেপারী। /৫ রাজু (২৫) পিতা, জাহাঙ্গীর। ৬/ তুষার দাস (২৫) পিতা, বাবুল দাস। ৭/ রাহান (৩৮) পিতা, জানু মিয়া। ৮/ আল আমিন (৩৭) পিতা, ইদ্রিস মিয়া। ৯/ সাগর (২৮) পিতা, সেলিম। ১০/ আরিফ (৩০) পিতা, আনোয়ার হাজী। ১১/ খসরু রোমান (৫২) মৃত পিতা,খালেক। ১২/ নাদিম (৩০) পিতা, বুলু মিয়া। ১৩/ মনির (৫২) মৃত পিতা, বাহালুল।
১৪/ খোকা (৩৮) পিতা, হাজী বসির মিয়া। ১৫/ মিন্টু (৪২) পিতা,বাহালুল মিয়া।
গত বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) বিকালে মুন্সীগঞ্জ গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফখরুদ্দিন ভূঁইয়া বিষয়টি গণমাধ্যমে নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে বুধবার গভীর রাতে উপজেলার মিরকাদিম থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। একই দিন সন্ধ্যা ৭টার দিকে নিহতের স্ত্রী রেহানা বেগম মামলাটি করেন। মামলায় ১৫ জনের নাম উল্লেখ করার পাশাপাশি অজ্ঞাতনামা পাঁচ-ছয়জনকে আসামি করা হয়।
ওসি ফখরুদ্দিন ভূঁইয়া জানান, জিল্লুর রহমান হত্যা মামলায় আরিফ নামে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করে আদালতে পাঠানো হয়। আদালত রবিবার রিমান্ডের শুনানির দিন ধার্য করেন। আরিফের পরিচয় পরে জানানো হবে। এ মামলায় সাবেক মেয়রসহ বাকিদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে।
এর আগে রবিবার (৭ জানুয়ারি) দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন সকালে পৌরসভার টেঙ্গর এলাকার রিকাবীবাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের পাশে জিল্লুর রহমানকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। নিহত জিল্লুর রহমান নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মৃণাল কান্তি দাসের সমর্থক ছিলেন।
Leave a Reply