সুজন চক্রবর্তী, আসাম( ভারত) প্রতিনিধিঃ-
দিল্লির শ্রদ্ধা কান্ডের ছায়া এবার ভারতের পশ্চিমবঙ্গের ২৪ পরগনার মধ্যমগ্রামে। স্ত্রীকে খুনের পর দেহ ৬ টুকরো করে খালে ফেলে দিল স্বামী। এরপর ধরা পরে যাওয়ার ভয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে নিজেও। তবে লাভ হল না। গ্রেপ্তারির পর অভিযুক্তের থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে খাল থেকে দেহাংশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। মৃতের নাম সায়রা বানু। তাঁর স্বামী নুরউদ্দিন মন্ডল। দিনকয়েক আগে নুরউদ্দিন (৫৫) মধ্যমগ্রাম থানায় স্ত্রী সায়রা বানুর নামে একটি মিসিং ডায়েরি করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে শুরু হয় তদন্তের স্বার্থেই বেশ কয়েকবার নুর উদ্দিনকে জেরা করে পুলিশ। সেই সময় বক্তব্যে অসংগতি পান তদন্তকারীরা। এরই মধ্যে বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন নুরউদ্দিন। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। খবর পেয়ে পুলিশ যায় ঘটনাস্থলে। দেখেন, নুরউদ্দিন আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে। পুলিশ সূত্রে খবর, এরপরই স্ত্রীকে খুনের কথা স্বীকার করে নেয় নুরউদ্দিন। জানা যায়, স্ত্রীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করে অভিযুক্ত। তার প্রমাণ লোপাটে দেহ ৬ টুকরো করে। ফেলে দেয় খালে। যাতে পুলিশের সন্দেহ না হয় সেই কারণে নিজেই নিখোঁজ ডায়েরি করে। কিন্তু তাতেও শেষরক্ষা হল না। ইতিমধ্যেই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। দেহাংশ উদ্ধার হয়েছে বলেও খবর। স্থানীয়দের অনুমান, জমি বিবাদের জেরেই এই ঘটনা।