সোহেল কবির, স্টাফ রিপোর্টারঃ-

“নির্বাচনে পরাজিত হয়েও জনকল্যাণমূলক কাজ করা যায়। মানুষের পাশে থেকে মানুষের সেবা করা যায়” নির্বাচন পরবর্তী পুনর্মিলন ২০২৪ ইং অনুষ্ঠানে গাজীপুর-২ আসনের স্বতন্ত্র এমপি প্রার্থী মো: সাইফুল ইসলাম এ কথা বলেন।

গাজীপুর টঙ্গীর কাঁঠালদিয়া এলাকায় শুক্রবার দুপুরে নির্বাচন পরবর্তী পুনর্মিলন ২০২৪ ইং অনুষ্ঠান তার নিজ বাসভবনে অনুষ্ঠিত হয়।

গাজীপুর-২ আসনের স্বতন্র এমপি প্রার্থী মোঃ সাইফুল ইসলাম পুনর্মিলন অনুষ্ঠানে বলেন,
অনেকে ভুলে যায় আমি কিন্তু ভুলে যাওয়ার রাজনীতি করিনা। যা বলি, তাই করি। আপনারা আমার নির্বাচনী ইশতেহার দেখেছেন। আমি নির্বাচনে পাস না করেও ইশতেহার মোতাবেক কাজ করব। মানুষ বুঝবে পাস না করেও কাজ করা যায়, যদি ইচ্ছা থাকে আদর্শ থাকে সততা থাকে তাহলে জনগনের পাশে থেকে সকল জনহিতকর কাজ করা সম্ভব। আগে ঘর করেছি দুই’শ এখন পাস না করেও করব হাজার হাজার ‘ইনশাআল্লাহ ‘। পানির ব্যবস্থা করে দিব। আরও বেশি বেশি ঘর করে দিব, যেন কোন মা, কোন ভাই, কোন বোন শীতে কষ্ট না করে। আপনাদের সাথে আমার সম্পর্ক একদিনের জন্য নয়, আমি সারা জীবন আপনাদের পাশে থেকে আপনাদের সেবা করে যাব। নির্বাচনে পাস ফেল বড় কথা নয়, ইচ্ছা শক্তিটাই আসল। যারা অসহায় মানুষ আছেন তাদের ঘর দিব, কোন বস্তি উচ্ছেদ হবেনা। যাদের ঘর নাই তাদের নতুন ঘর করে দিব। নির্বাচনে পরাজিত হয়েও জনকল্যাণমূলক কাজ করা যায়, আমি তার দৃষ্টান্ত দিবো।

তিনি আরও বলেন, এই নির্বাচনে অংশ গ্রহন করেছি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কথায়। তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী উম্মুক্ত করে দিয়েছে বলে নির্বাচন করেছি। প্রধানমন্ত্রীর কাছে যাব, আপনাদের সুখ-দুঃখের কথা বলব। শুধু এমপি মন্ত্রী হলেই কি সব করা যায়? ইচ্ছে থাকতে হয়! বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর কন্য শেখ হাসিনা আমাদের প্রধানমন্ত্রী আমি উনার আদর্শ লালন করি। আমরা কাজ করব, আমরা খবর নিব কে খেয়ে আছে, কে না খেয়ে আছে, কার ঘর নাই কার বাড়ি নাই! কে বিনা চিকিৎসায় আছে। টাকার জন্য যেসব বাচ্চাদের পড়ালেখা হচ্ছে না আমরা তার ব্যবস্থা নেব, পাস না করেও আমরা আমাদের ওয়াদা বাস্তবায়ন করার চেষ্টা করব, ‘ইনশাআল্লাহ’। কোন কিছুতেই দাবিয়ে রাখা যাবে না, আমরা বাঙালি জাতি আমরা বীরের জাতি, পাকিস্তানিরা আমাদের দাবিয়ে রাখতে পারে নাই, আমাদের বাঙালি বীরের জাতি দেশ স্বাধীন করেছে। আমরা স্বাধীন দেশের নাগরিক।  আমি মৃত্যুর আগ পর্যন্ত এদেশের মানুষের জন্য কাজ করব ‘ইনশাআল্লাহ’। কিভাবে নির্বাচন হয়েছে আপনারা জানেন, নির্বাচন করতে গিয়ে নানা ঘাত প্রতিঘাত সহ্য করতে হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে নির্বাচন করেছি। প্রধানমন্ত্রী চেয়েছেন একটি প্রতিযোগীতামূলক, অংশগ্রহণ মূলক নির্বাচন। আমরা প্রধানমন্ত্রীকে সেই নির্বাচন উপহার দিয়েছি। আজকে এখানে শতশত মানুষ ভালবাসার টানে এসেছে। আমি আমার নির্বাচনী ইশতেহার নিজের শরীর গাম দিয়ে কার্যকর করব ইনশাআল্লাহ। এমপি মন্ত্রী লাগেনা মন লাগে, আপনাদের ভালবাসা পেয়েছি, গাজীপুরের মানুষ বুঝতে শিখেছে ভালবাসা কি জিনিস ভালবাসার কাছে শতকষ্ট ম্লান হয়ে যাবে। আগামী দিনের আমাদের যে অঙ্গীকার আপনাদের সাথে নিয়ে তা বাস্তবায়ন করব “ইনশাআল্লাহ”। আমি আমার নির্বাচন ইশতেহার কার্যকর করার মাধ্যমে আগামী দিনের জন্য প্রস্তুত হবো। আগামী নির্বাচনে আপনাদের সহযোগিতা নিয়ে আপনাদের প্রতিনিধি হয়ে  সকল কাজ ধারাবাহিক ভাবে করে যাব “ইনশাআল্লাহ”।

উক্ত অনুষ্ঠানে স্থানীয় নেতৃবৃন্দ, এলাকার গন্যমান্য বাক্তি ও গাজীপুর সংসদ-২ আসনের স্থানীয় শতশত সাধারণ জনগন উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান শেষে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে নির্বাচিত বর্তমান সরকার ও সাধারণ মানুষের জন্য  কল্যান চেয়ে দোয়া করা হয় এবং দুপুরে মধ্যহ্ন ভোজের আয়োজন করা হয়।