1. admin@dailypratidinerbarta.com : admin :
বুধবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৪, ০৮:০৪ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
মুন্সীগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি পরিদর্শন রাজউক প্লান আর অনুমোদনহীন ভবনে ঝুকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে নাসিক ৩ নং ওয়ার্ড সন্ত্রাস, নৈরাজ্য, চাঁদাবাজ, দখলদারের বিরুদ্ধে ডেমরা থানা শ্রমিক দলের বিক্ষোভ মিছিল। একটি হারানো বিজ্ঞপ্তি ব্যাগিং পদ্ধতিতে আদা চাষে স্বপ্ন বুনছে রানীশংকৈল উপজেলার আদা চাষিরা পীরগাছায় সাংবাদিকদের সাথে জামায়াতে ইসলামীর মতবিনিময়  মুন্সীগঞ্জে আজ থেকে যৌথ অভিযান অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে শুরু সেনাবাহিনী মুন্সীগঞ্জের কৃতি সন্তান ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি হলেন আওলাদ হোসেন পনির মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে জমি দখল করে বাড়ি নির্মাণের অভিযোগ শেখ হাসিনার নামে যত মামলা

অনলাইন জুয়ায় আসক্ত শিক্ষার্থী ও বেকার তরুণরা‌

  • আপডেট সময় : মঙ্গলবার, ২৩ জানুয়ারি, ২০২৪
  • ৬৯ বার পঠিত

মিনাজ ইসলাম,পাটগ্রাম (লালমনিরহাট)প্রতিনিধিঃ-

এন্ড্রয়েড ফোন  অ্যাপসের মাধ্যমে অনলাইন জুয়া ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে লালমনিরহাট পাটগ্রাম উপজেলায়। এতে লোভে পড়ে বিভিন্ন বয়সের মানুষ, বিশেষ করে শিক্ষার্থী ও বেকার তরুণেরা এই জুয়ায় বেশি আসক্ত হচ্ছেন। জুয়ার নেশায় বুঁদ হয়ে সর্বস্ব হারাতে বসেছেন তাঁদের অনেকে। এ কারণে বাড়ছে পারিবারিক অশান্তি ও দাম্পত্য কলহ। অনুসন্ধানে জানা গেছে, পৌর এলাকা থেকে শুরু করে উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল সহ পাটগ্রাম ইউনিয়নের কালিরহাট বাজার  গ্রামগুলোয় এই জুয়া বিস্তার লাভ করছে।

সহজে প্রচুর টাকা উপার্জনের লোভে পড়ে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন বয়সের অসংখ্য মানুষ এই জুয়ায় জড়িয়ে পড়ছেন। তরুণদের অনেকেই কৌতূহলবশত এই খেলা শুরুর পরেই নেশায় পড়ে যাচ্ছেন। প্রথমে লাভবান হয়ে পরবর্তী সময় খোয়াচ্ছেন হাজার হাজার টাকা। অনলাইন জুয়ার সঙ্গে জড়িত কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, স্মার্টফোনে নির্ধারিত কয়েকটি অ্যাপস ডাউনলোড করে সেখানে জুয়া খেলা চলে। বিভিন্ন নামের প্রায় ১০ থেকে ১২টির মতো অ্যাপসে সবচেয়ে বেশি জুয়া খেলা হয়। এসব অ্যাপসে ১০ টাকা থেকে শুরুকরে যেকোনো অঙ্কের টাকা দিয়ে শুরু করা যায়। এবং এই সবকিছু কাজ নামধারি এজেন্টের মাধ্যমে করা হয়  জুয়ায় জড়িত ব্যক্তিরা বলছেন, এসব অ্যাপসের বেশির ভাগই পরিচালনা
হচ্ছে রাশিয়া, মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়া থেকে।

বাংলাদেশে এগুলোর স্থানীয় প্রতিনিধি (এজেন্ট) রয়েছে। পাটগ্রাম উপজেলার প্রায় প্রতিটি বাজারেই রয়েছে এই ধরনের এজেন্ট। তারা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে জুয়ায় অংশগ্রহণকারী ব্যক্তিদের কাছ থেকে টাকা গ্রহণ বা প্রদান করে থাকে। এজেন্টরা বিদেশি অ্যাপস পরিচালনাকারীদের কাছ থেকে হাজারে কমপক্ষে ৪০ টাকা কমিশন পায়। এজেন্টদের মাধ্যমেই বিদেশে টাকা পাচার হয়। নাম প্রকাশ না করার শর্তে
চলতি বছরের এক অনার্স পরীক্ষার্থী বলেন, প্রথমে ২০০ টাকা বিনিয়োগ করে ১ হাজার টাকা পান তিনি। এতে লোভে পড়ে এই খেলায় মারাত্মক আসক্তি চলে আসে তাঁর। গত ছয় মাস এই জুয়ার নেশায় পড়ে মোবাইল বিক্রি করে দিয়েছেন তিনি। এমনকি চলতি অনার্স প্রথম বর্ষ পরীক্ষার মধ্যেও তিনি খেলা ছাড়তে পারেননি। এ বিষয়ে পাটগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অফিসার ইনচার্স (ওসি) ফেরদৌস ওয়াহিদ বলেন, আমরা বিছিন্ন ভাবে জানতে পারি যে অনলাইন জুয়ার খবর, তবে কেউ

আমাদের লিখিত অভিযোগ দেয় না যদি কেউ লিখিত দেয় তাহলে আমারা জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

অনলাইন জুয়ার বিষয়ে পাটগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নুরুল ইসলাম বলেন, উপজেলার আইনশৃঙ্খলা সভায় এই ব্যাপারে সবাইকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। আমাদের উপজেলায় এরকম হচ্ছে আপনার মাধ্যমে জানতে পারলাম, তবে এ ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট তথ্য পেলে আমার আইনগত ব্যাবস্থা গ্রপহন করবো।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরও খবর

ফেসবুকে আমরা

© স্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২২ © দৈনিক প্রতিদিনের বার্তা ©
Theme Customized By Shakil IT Park