এস আলম,নরসিংদী জেলা প্রতিনিধিঃ-
পলাশ উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীদের ভুল সিদ্ধান্তে হাত ছাড়া হতে পারে পলাশ উপজেলা পরিষদ। জনমত জরিপে পলাশ উপজেলার সাবেক মেয়র ও পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি শরীফুল হকের চেয়ে বর্তমান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সৈয়দ জাবেদ হোসেন এগিয়ে আছে।পলাশ উপজেলা আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের কারনে ক্ষুব্ধ সাধারণ নেতা কর্মীরা।
নরসিংদী চারটি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা নিয়ে ৯৪.৪৩ বর্গকিলোমিটার আয়তনে গঠিত পলাশ উপজেলা। ২০১৪ সাল থেকে এখন অবধি সুনামির সহিত দুই দফা উপজেলা চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন সৈয়দ জাবেদ হোসেন। দুই দফা চেয়ারম্যান থাকা কালিন স্থানীয় সকল নেতা কর্মী সাধারণ মানুষের নয়ন মনি হয়ে ওঠেন তিনি। অপর দিকে সাবেক মেয়র ও পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি শরীফুল হক সাধারণ নেতা কর্মীদের সঙ্গে তেমন কোন যোগাযোগ না থাকায় সাধারণ ভোটারা বলছে আমাদের বর্তমান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সৈয়দ জাবেদ হোসেন ভাইয়ের কাছে যখন যে সমস্যা নিয়ে যাই তিনি আপ্রাণ চেষ্টা করেন সমাধান করার জন্য।
পলাশ উপজেলা বিভিন্ন এলাকা সাধারণ ভোটারদের সঙ্গে কথা বলে জানাযায় সাবেক মেয়র ও পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি শরীফুল হকের চেয়ে বর্তমান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সৈয়দ জাবেদ হোসেন অনেক এগিয়ে। এ বিষয়ে জিনারদী ইউনিয়নের মোঃ কামাল হোসেন বলেন আমাদের বর্তমান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অনেক সাদা মনের মানুষ। তিনার কাছে যে কেউ কোন কাজের জন্য গেলে তিনি আপ্রাণ চেষ্টা করেন তার কাজ সমাধান করার জন্য এবং সকল শ্রেণির মানুষের সঙ্গে রয়েছে প্রানের সম্পর্ক। তাকে সকল শ্রেণির মানুষ দেবতুল্য ভাবে। অপর দিকে ডাঙ্গা ইউনিয়নের বিল্লাল মিয়া বলেন সৈয়দ জাবেদ হোসেন একজন ভালো মানুষ। এলাকায় সকল শ্রেণির মানুষের সঙ্গে রয়েছে তার সু সম্পর্ক। মানুষ তাকে ভালোবাসে। তার মতো একজন ভালো মানুষ আমাদের অভিভাবক প্রয়োজন। সে থাকলে আমাদের এলাকায় অনেক উন্নয়ন মূলক কাজ হবে। অপর দিকে সাবেক মেয়র শরীফুল হক এলাকায় তেমন কোন যোগাযোগ নেই বা তার চেয়ে জাবেদ ভাই অনেক ভালো মানুষ। চার সিন্ধুর ইউনিয়নের সচেতন নাগরিক সঙ্গে চায়ের দোকানে কথা হলে তারা জানায় সাবেক মেয়রের চেয়ে বর্তমান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অনেক ভালো মানুষ। তার মতো জনপ্রতিনিধি আমাদের এলাকার উন্নয়নের জন্য দরকার।তার ভিতর কোন অহংকার বা দূর্নীতি নেই। সে একজন ভালো মনের মানুষ। গজারিয়া ইউনিয়ন গজারিয়া বাজারে চায়ের আড্ডায় উপজেলা পরিষদের নির্বাচন নিয়ে আলোচনায় তারা বলেন এবার আমাদের উপজেলা আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তকে ভুল বলছে। বর্তমান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানকে বাদ দিয়ে সাবেক মেয়রকে সমার্থন দেওয়ায় হাত ছাড়া হতে পারে এ-ই উপজেলা। এদিকে ঘোড়াশাল পৌরসভার অনেক নেতা কর্মীরা এ-ই সিদ্ধান্তকে ভুল বলে জানায়। বিভিন্ন দিক বিশ্লেষণ করে জানাযায় এবং জনমত জরিপে পলাশ উপজেলার সাবেক মেয়র ও পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি শরীফুল হকের চেয়ে বর্তমান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সৈয়দ জাবেদ হোসেন অনেক এগিয়ে আছে। সাধারণ ভোটারদের ও সচেতন মহলের দাবি এ-ই সিদ্ধান্তকে পূনরায় বিবেচনা করলে উপজেলা পরিষদ হাত ছাড়া হবে না।