সোহেল কবির, স্টাফ রিপোর্টারঃ-
এবারের বানিজ্য মেলাকে সাফল্যমন্ডিত করতে এবং ২০২৩ সালের তুলনায় স্টল ও প্যাভিলিয়নের সংখ্যা যেমন বেড়েছে তেমনি বেড়েছে সেচ্চায় সেবা দানকারী প্রতিষ্ঠানের সংখ্যাও। সেদিক থেকে পিছিয়ে নেই স্থানীয় কিছু হাসপাতাল ও সেচ্ছাসেবী সংগঠন।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, বাংলাদেশের বড় বড় প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি সেবা দিয়ে যাচ্ছে স্থানীয় প্রতিষ্ঠান ডিকেএমসি হাসপাতালের দক্ষ একদল স্বেচ্ছাসেবী কর্মী বাহিনী। ডিকেএমসি হালপাতাল লিঃ মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা এম এ কাসেম সাহেবের তত্তাবধানে সার্বক্ষনিক রোগীদের সেবা দেয়াসহ বিনা মূল্যে তাদের ঔষধ বিতরণ, প্রাথমিক চিকিৎসা, ব্লাড প্রেসার মাপা, ডায়াবেটিস পরিক্ষাসহ মেলায় আগত যে কোন লোক হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাদের তাৎক্ষনিক সেবা দানের উদ্যেশ্যেই তাদের এই আয়োজন।
ডিকেএমসি হাসপাতালের ব্যাপারে কথা হয় হাসপাতালের নির্বাহী পরিচালক নজরুল ইসলামের সাথে তিনি বলেন, আমরা ডিকেএমসি হাসপাতালের মাধ্যমে রূপগঞ্জে বিভিন্ন সময় ক্যাম্পেন করে বেশ সুনাম অর্জন করেছি। তাই এবার বানিজ্য মেলায় মানুষের সেবা দিয়ে জাতীয় পর্যায়ে সেবার মান বাড়াতেও হাসপাতালকে পরিচিতি করতেই আমাদের এই আয়োজন।
মেলায় ঘুরতে আসা জনতা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মুক্তার মাস্টার জানান, আমি মেলায় ঘুরার এক পর্যায়ে অসুস্থ অনুভব করি, তৎক্ষণাৎ ডিকেএমসি হাসপাতালের ক্যাম্পে যাই তাদের মেডিকেল টিম আমাকে ডায়াবেটিস পরিক্ষা করে দেখে
আমার সুগারের পরিমান বেড়ে গেছে। এতে আমি আতঙ্কিত হলে ডিকেএমসি হাসপাতালের একদল সেবাদান কারীরা আমাকে শান্তনা দিয়ে ঔষধ সেবন করিয়ে আমাকে ২০ মিনিট বিশ্রামে রেখে আমার শারিরিক অবস্থার উন্নতি হলে আমি বাসায় চলে যাই।
এসময় ডিকেএমসি হাসপাতালের একাউন্টেন্ট শামসুল আলম কে ভালো সেবা নিশ্চিত করতে ক্যাম্পে উপস্থিত দেখা যায়।
এ ব্যাপারে ইপিবির সচিব ও বানিজ্য মেলার পরিচালক বিবেক সরকার বলেন, এবারের মেলায় স্টল ও প্যাভিলিয়ন নিয়ে মোট ৩৫১ টি স্টল বরাদ্ধ দেয়া হয়েছে। তার মধ্যে বেশ কয়েকটি সেচ্ছাসেবী ও সেবা ধর্মী সংগঠনও আছে। তাদের মধ্যে ডিকেএমসি, মেনেজমেন্ট নেট এন্ড বাংলাদেশ থেলাসেমিয়া সমিতি হাসপাতাল ও বিআরবি হাসপাতাল অন্যতম ।
Leave a Reply