সিরাজুল ইসলাম, ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ-
কথায় আছে মাঘের শীতে বাঘ কাঁদে, দেশের উওর অঞ্চল ঠাকুরগাঁও জেলা হিমালয় পর্বত সন্নিকট হওয়ায় ঠান্ডার প্রকোপতা ও বেশি। তীব্র শৈত্যপ্রবাহ ঘনকুয়াশায় আচ্ছন্নে ঢাকা ঠাকুরগাঁওয়ের জনজীবন। সকালের হিমশীতল ঠান্ডায় হাত পায়ের কাঁপুনি ধরিয়ে জানান দিচ্ছে মাঘের বাহাদুরি।ছেলে বুড়ো সবাই নাজেহাল এই হিমশীতল ঠান্ডায়, আক্রান্ত হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের ঠান্ডা জনিত রোগে বিশেষ করে আক্রান্ত হচ্ছে ছোট শিশু ও বয়ষ্করা নিউমোনিয়ায়, জ্বর, সর্দি, কাশি ডায়েরি, এবং শ্বাস কষ্ট জনিত রোগে ভির জমাচ্ছে হাসপাতাল গুলোতে। গ্রামের কচিকাচা বয়ষ্করা ঠান্ডা থেকে বাঁচার জন্য একটু শরীর কে গরম করার জন্য খড়কুটো কুরিয়ে আগুনের চারপাশ বসে আগুন পোহাচ্ছে। এই অবস্থায় আবহাওয়া অফিসের তথ্য মতে ঠাকুরগাঁওয়ের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৭/৮ডিগ্রি সেলসিয়াসে উঠানামা করছে, তবে মাঝে মধ্য সূর্যের দেখা মিললেও আবার ঘনকুয়াশার আড়ালে লুকিয়ে যায়। বিপর্যয়স্হ জনজীবনে বিশেষ করে বিপাকে পড়েছে নিম্ন আয়ের মানুষ, অটোচালক মাঝহারুল (৩৫) জানান প্রচন্ড ঠান্ডা আর ঘন কুয়াশার কারণে একদিকে যেমন অটোচালাতে সমস্যা হচ্ছে তেমনি যাত্রী সংখ্যা কম হওয়ায় আগের মত আয়রোজগার কমে গেছে আগে যদি ভাড়া হতো দিন,৭০০-৮০০টাকা বর্তমানে দিনে ৩০০/৪০০ টাকা হয়। দিন মুজুর আবুকালাম (৩৮)জানান ঠান্ডার কারণে মাঠে কাজ করতে খুব কষ্ট হয় হাত পায়ে হিম ধরে আসে, তাছাড়া এই ঠান্ডায় কাজ কাম হওয়ায় আয়রোজগার ও কমে গেছে। বিদ্যালয় গুলোতে ঘুরে দেখা যায় প্রচন্ড ঠান্ডার কারণে ছাত্রছাত্রীর উপস্থিতি কিছুটা হলে ও কম, সহকারী শিক্ষক মসলিম উদ্দীন জানান (৪৫)তীব্র শৈত্য প্রবাহ ঘনকুয়াশার কারণে বিদ্যালয়ে ছাত্রী-ছাত্রীর উপস্থিতি কিছুটা কম তবে আবহাওয়া স্বাভাবিক হলে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি বাড়াবে।গবাদি পশু বন্যপ্রাণী ও ছাড় পাচ্ছেনা এই ঠান্ডার কবল থেকে হয়তো মাঘের তীব্র চোখরাঙ্গানী জনজীবনকে হিম ধরিয়ে বিদায়ের ইতি টানতেই এত মহড়া।