স্টাফ রিপোর্টারঃ-
নারায়নগঞ্জের রূপগঞ্জে পুর্ব শত্রুতার জেরে বাসা বাড়িতে হামলা করে ৬ জন আহতসহ ভাংচুর লুটপাটের আভিযোগ পাওয়া গিয়েছে।
বুধবার (৩১ জানুয়ারি) আনুমানিক সকাল ১০টার দিকে ভুলতা ইউনিয়নের আজিজনগর (মুইরাব) এলাকায় আওলাদ হোসেনের সাথে পূর্ব শত্রুতার জেরে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে শাহাদুল্লাহ মিয়া ও তার লোকজন হামলা করে মারধর করে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় নিলাফুলা জখম করে, বাড়িতে হামলা ভাংচুর লুটপাট চালায়। এ বিষয়ে রূপগঞ্জ থানায়
মোসাঃ শিউলী বেগম (৪৪) মোসাঃ নাজমা বেগম, বাদি হয়ে একটি আভিযোগ দায়ের করেন।
আভিযোগ অনুযায়ী আসামীরা হলেন ১। শাহাদুল্লাহ মিয়া (৪০), ২। নবু মিয়া (৩৪), ৩। সফু মিয়া (৩২), ৪। আহাসান উল্লাহ (৪৫), ৫। হানিফা (২৮), ৬। মোরছালিন (২৫), সর্ব পিতা- মৃত ইউসুফ আলী, ৭। সাকিব (২০), পিতা- আহাসান উল্লাহ, ৮। সায়েম মিয়া (১৮), পিতা- শাহাদুল্লাহ মিয়া, ৯। রহমত আলী (৬৫), পিতা- মৃত ওমর আলী, সর্ব সাং- মুইরাব (আজিজ নগর), ওয়ার্ড নং-০৫, পোঃ ভুলতা, থানা- রূপগঞ্জ, জেলা- নারায়ণগঞ্জ সহ অজ্ঞাতনামা ৫/৭
আসামীরা অত্যন্ত উচ্ছৃঙ্খল, দাঁঙ্গাবাজ, ভূমিদস্যু, চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোক।
আভিযোগের বাদি মোসাঃ শিউলী বেগম (৪৪), মোসাঃ নাজমা বেগম, জানান,
উল্লেখিত আসামীরা রাজনৈতিক বিভিন্ন বিষয় নিয়া দীর্ঘদিন যাবৎ আমার স্বামী ও আমার পরিবার-পরিজনদের সাথে বিরোধপূর্ণ মনোভাব পোষন করিয়া আসিতেছে। ইং-৩১/০১/২০২৪ তারিখ সকাল আনুমানিক ১০.০০ ঘটিকার সময় আমার স্বামী আওলাদ হোসেন (৪৭) ঘর হইতে বাহির হইয়া রূপগঞ্জ থানাধীন মুইরাব (আজিজ নগর) সাকিনস্থ আমাদের নিজ বাড়ীর সামনে রাস্তায় দাড়িয়ে থাকাবস্থায় পূর্ব বিরোধ'কে কেন্দ্র করিয়া ৯নং আসামী রহমত আলী এর হুকুমে বর্ণিত ১নং আসামী শাহাদুল্লাহ ও ২নং আসামী নবু মিয়া'দ্বয়ের নেতৃত্বে ও সক্রিয় অংশগ্রহণে উল্লেখিত অপরাপর আসামীরা তাহাদের সঙ্গীয় অজ্ঞাতনামা ৫/৭ জন আসামীদের নিয়া দেশীয় মারাত্বক অস্ত্র-শস্ত্র দা, রামদা, চাপাতি, চাইনিজ কুড়াল, সুইচ গিয়ার চাকু, টেটা, লোহার রড, এস.এস পাইপ, হাতুড়ি, হকিস্টিক ও লাঠিসোটা দ্বারা সজ্জিত হইয়া বেআইনি জনতাবন্ধে আসিয়া আমার স্বামীর পথরোধ করতঃ ১নং আসামীর হুকুমমতে সকল আসামীরা আমার স্বামীকে ধরিয়া এলোপাথারীভাবে এলোপাতাড়িভাবে মারপিট করিয়া তাহাদের শরীরের বিভিন্নস্থানে নীলাফুলা, বেদনাদায়ক ও রক্তজমাট জখম করে। আমার স্বামী মাটিতে লুটাইয়া পড়িলে ১নং আসামী আমার স্বামীর বুকের উপর দাড়িয়ে বেদনাযুক্ত নীলাফুলা জখম করে। ২,৩,৫নং আসামীরা লাঠিসোঠা দ্বারা আমার স্বামীর উভয় হাতে, পায়ে, পিঠে সহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে বেদনাযুক্ত নীলাফুলা জখম করে। আমার স্বামীর ডাক চিৎকার শুনিয়া আমার ছোট ছেলে ইমন (২০) আগাইয়া আমার স্বামীকে বাঁচানোর চেস্টা করিলে সকল আসামীরা আমাকে ছাড়িয়া দিয়া আমার ছেলেক ধরিয়া লাঠিসোটা দ্বারা পিটাইয়া ছেলের শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীলাফুলা জখম করে। সংবাদ পাইয়া আমি দ্রুত ঘটনাস্থলে উপস্থিত হইলে ৩,৪,৫নং আসামীর আমাকে ধরিয়া চড়, থাপ্পর মারিয়া আমাকে আহত করে। এই সময় ১নং ও ২নং আসামী আমার চুলের মুঠি ধরিয়া আমার পড়নে জামা কাপড় টানা হেচড়া করিয়া শ্লীলতাহানী ঘটায়। ৩নং আসামী সফু আমার স্বামীর পরিহিত পাঞ্জাবীর ডান পকেটে থাকা স্ত্রী পিছ ব্যবসার নগদ ২,০০,০০০/- (দুই লক্ষ) টাকা টান মারিয়া নিয়া নেয়। এই সময় ৮নং আসামী সায়েম আমার গলায় পড়নে ০১ ভরি ওজনের স্বর্ণের চেইন টান মারিয়া ছিনিয়া নেয়। যাহার মূল্য অনুমান ১,১০,০০০/- (এক লক্ষ দশ হাজার) টাকা। সকল আসামীরা আমাদের বাড়ীতে প্রবেশ করিয়া লুটপাটের চেষ্টা চালায়। অতঃপর সকল আসামীরা লোহার রড, লাঠিসোটা এবং হকিষ্টিক দ্বারা আমাদের বাড়ীর থাই গ্লাস ভাংচুর করিয়া আনুমানিক ১,৫০,০০০/- (এক লক্ষ পঞ্চাশ হাজার) টাকার ক্ষতি সাধণ করে। আমাদের পরিবারের সকলের ডাক চিৎকার শুনিয়া অন্যান্য প্রতিবেশীরা আগাইয়া আসিতে থাকিলে সকল আসামীরা আমাদের এই মর্মে হুমকি প্রদান করে যে, আসামীরা পরবর্তীতে আমার স্বামীকে সহ আমার পরিবারের সদস্যদের পরবর্তীতে সুযোগমত পাইলে খুন জখম করিয়া লাশ গুম করিয়া ফেলিবে এবং আসামীরা আরও হুমকি প্রদান করে যে, আসামীদের কর্তৃক সংঘটিত উক্ত ঘটনায় আমরা কেহ মামলা মোকদ্দমা করিলে, আসামীরা আমাদের পরিবারের সদস্যদের, বর্নিত জখমীদের সহ তাহাদের পরিবারের সদস্যদের খুন জখম করিয়া লাশ গুম করিয়া ফেলিবে। অতঃপর আসামীরা বীরদর্পে আমাদের বাড়ি হইতে চলিয়া যায়। স্থানীয় কতিপয় লোকজনদের সহযোগিতায় আমি, আমার স্বামী ও আমার ছেলে সকলেই জখমপ্রাপ্ত অবস্থায় রূপগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যাইয়া প্রাথমিক চিকিৎসা গ্রহণ করি।