হিলি (দিনাজপুর)প্রতিনিধিঃ-
বাজার নিয়ন্ত্রণে আবারও ভারত থেকে আলু আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। ইতোমধ্যে হিলি স্থলবন্দরের আমদানিকারকরা আমদানির অনুমতি চেয়ে সংশ্লিষ্ট দফতরে আবেদন করেছেন। বৃহস্পতিবার (০১ ফেব্রুয়ারি) আমদানির অনুমতি পাওয়ার সম্ভাবনা আছে। ফলে বৃহস্পতিবার বা শনিবার থেকে আমদানি শুরু হবে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। এতে আলুর দাম ২০-২৫ টাকার মধ্যে চলে আসবে বলে আশা তাদের।
বন্দরের আমদানিকারক শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘বর্তমানে দেশে আলুর ভরা মৌসুম চলছে। দেশের বিভিন্ন স্থানে পর্যাপ্ত পরিমাণ নতুন আলু উঠেছে। এরপরও দাম কমছে না। এ অবস্থায় সরবরাহ স্বাভাবিক ও দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। তাই দুই হাজার টন আমদানির অনুমতি চেয়ে সংশ্লিষ্ট দফতরে আবেদন করেছি। আমিসহ বন্দরের বেশ কয়েকজন আমদানিকারক অন্তত ৩০ হাজার টন আলু আমদানির অনুমতি চেয়ে সংশ্লিষ্ট দফতরে আবেদন করেছি। সংশ্লিষ্ট দফতরে খোঁজ নিয়ে জেনেছি, বৃহস্পতিবার অনুমোদন দিতে পারে। অনুমোদন পেলেই আমদানি শুরু হবে।’
আলু আমদানির জন্য ব্যাংকগুলোর সঙ্গে আলোচনাসহ সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছি উল্লেখ করে শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘ভারতীয় রফতানিকারকদের সঙ্গে আলোচনা করে রেখেছি। আশা করছি, অনুমোদন পেলে বৃহস্পতিবার বিকালের মধ্যে আমদানি শুরু করবো। যদি কোনও কারণে না হয়, তাহলে শনিবার থেকে শুরু হবে। আমদানি শুরু হলে আলুর দাম ২০-২৫ টাকার মধ্যে চলে আসবে। দেশে যে পরিমাণ আলু উৎপাদন হয়েছে, তা দিয়ে চাহিদা পূরণ সম্ভব নয়। ফলে আমদানি শুরু হলে কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন না, বরং মজুতকারীদের লোকসান হবে।’
হিলি স্থলবন্দরের উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের উপ-সহকারী সংগনিরোধ কর্মকর্তা ইউসুফ আলী বলেন, ‘বাজার নিয়ন্ত্রণে আলু আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। ইতোমধ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে আমদানির অনুমতি দিতে পত্র দিয়েছে আমাদের। বৃহস্পতিবার থেকে অনুমতিপত্র (আইপি) দেওয়া শুরু হবে। ইতোমধ্যে বন্দরের বেশ কয়েকজন আমদানিকারক অনুমতি চেয়ে আবেদন করেছেন। অনুমতি দিলেই আমদানি শুরু হবে। ইতোমধ্যে আমরা সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করে রেখেছি।’
প্রসঙ্গত, সরবরাহ কমের অজুহাতে দেশে আলুর দাম বেড়ে গেলে বাজার নিয়ন্ত্রণে গত বছরের ৩০ অক্টোবর সরকার আমদানির অনুমতি দেয়। আমদানির মেয়াদ ছিল গত ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত। পরে ব্যবসায়ীদের আবেদনের ভিত্তিতে সময়সীমা আরও ১৫ দিন বাড়িয়ে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়। ১৫ ডিসেম্বর থেকে বন্দর দিয়ে আলু আমদানি বন্ধ রয়েছে। নতুন করে আমদানি শুরুর খবরে বন্দরে কর্মচাঞ্চল্য ফিরেছে।