রাকিব মাহমুদ, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিঃ-
মাতৃভাষা বাংলার মর্যাদা সমুন্নত রাখার জন্য ভাষা শহিদদের সর্বোচ্চ আত্মত্যাগকে স্মরণ করে যথাযযোগ্য মর্যাদায় বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) ‘অমর একুশে', ভাষা শহীদ দিবস এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করেছে শাহজাদপুরে অবস্থিত রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়। অমর একুশের কালজয়ী গান, ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি সমবেত গানের সঙ্গে রাত ১২টা ১ মিনিটে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো: শাহ্ আজম শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নামে প্রতিষ্ঠিত রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবন-৩ এ একুশের প্রথম প্রহরে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য শাহ্ আজম বলেন, বাঙালি জাতীয়তাবাদের মূলভিত্তি হচ্ছে বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন। স্বাধীন বংলাদেশ প্রতিষ্ঠার পেছনে ভাষা আন্দোলনের গুরুত্ব অনস্বীকার্য। ভাষা আন্দোলনের মাধ্যমেই তৎকালীন পূর্ব বাংলার গণতান্ত্রিক আন্দোলন সুসংহত হয় এবং অগ্রগতি লাভ করে। ভাষা আন্দোলনের চেতনাঋদ্ধ জনগণ চেয়েছে স্বাধীন জাতিরাষ্ট্র। আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালিকে সে চেতনার মন্ত্রে উজ্জীবিত করেছেন। যার ডাকে কোটি বাঙালি স্বাধীনতার জন্য জীবনপণ লড়াইয়ে ঝাপিয়ে পড়ে ছিনিয়ে এনেছেন লাল সবুজের প্রিয় পতাকা।
রবীন্দ্র উপাচার্য শাহ্ আজম আরও বলেন, বাঙালির সামাজিক, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিক আকাঙ্ক্ষাকে হাজারগুণে বাড়িয়ে দেয় এ আন্দোলন। তাই ‘৫২-এর ভাষা আন্দোলন বাংলাদেশ ও বাঙালি জাতির গণচেতনার সর্বপ্রথম বহিঃপ্রকাশ এবং স্বাধিকার আন্দোলনের উন্মেষে এক বলিষ্ঠ পদক্ষেপ। তাই বাংলাদেশের ইতিহাসে ভাষা আন্দোলনের ভূমিকা ছিল সুদূরপ্রসারী।
এর আগে মহান ভাষা আন্দোলনের শহিদদের প্রতি সম্মান জানিয়ে শহীদ বেদিতে রাত এগারোটা থেকে সাংস্কৃতিক পরিবেশনায় অংশ গ্রহণ করেন রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীবৃন্দ।
পুষ্পার্ঘ্য অর্পণের আগে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবন-৩ প্রাঙ্গণে ভাষা আন্দোলনের শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে একমিনিট নীরবতা পালন করা হয়। রবীন্দ্র উপাচার্য প্রফেসর শাহ্ আজম ছাড়াও এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর ফিরোজ আহমেদ, শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. মো: ফখরুল ইসলামসহ বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যান ও শিক্ষকবৃন্দ।