মুন্সীগঞ্জ প্রতিবেদকঃ-
মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলা নির্বাচনে ব্যালট ছিনতাইয়ের চেষ্টা, পুলিশের ওপর হামলা ও গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগে মামলা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে থানায় মামলাটি করেন উপপরিদর্শক জাহিদ হাসান। হোসেন্দী ইউপি চেয়ারম্যান মনিরুল হক মিঠুকে প্রধান আসামি করে অজ্ঞাতপরিচয় ১৫০-২০০ ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলাটি হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গত বুধবার দুপুরে গজারিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে হোসেন্দী বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র দখলে নিয়ে ব্যালট পেপারে সিল মারেন আনারস প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকরা। এ সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে সিল লুট করে নিয়ে যান তারা। পরে ওই কেন্দ্রে দুপুর ১টা ৫৫ মিনিট থেকে প্রায় দেড় ঘণ্টা ভোট গ্রহণ বন্ধ রাখেন কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রিসাইডিং কর্মকর্তা। বিকেল ৩টা ২৫ মিনিটের দিকে ফের ভোট গ্রহণ শুরু হয়। এ সময় কেন্দ্রের বাইরে থাকা ১৫০-২০০ কর্মী-সমর্থক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ বদিউজ্জামানের ওপর হামলা করে। ভাঙচুর করা হয় তাঁর ব্যবহৃত সরকারি গাড়ি। হামলা ঠেকাতে গিয়ে ইটপাটকেলের আঘাতে আহত হন পুলিশ সদস্য সাদ্দাম (২৪) ও সোহাগ (২৫)। খবর পেয়ে কেন্দ্রের ভেতরে থাকা পুলিশ সদস্যরা বাইরে বেরিয়ে এলে তাদের ওপর ইটপাটকেল, লাঠিসোটা, হাতবোমা নিক্ষেপ করে এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করে ফের কেন্দ্রের দখলের চেষ্টা করেন ওই কর্মী-সমর্থকরা। এসব ঘটনায় নেতৃত্ব দেন হোসেন্দি ইউপি চেয়ারম্যান মনিরুল হক মিঠু।
একই দিন সকাল সোয়া ৯টার দিকে ভবানিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা পুলিশ কনস্টেবল সোহেল রানাকে মারধরের ঘটনা ঘটে মিঠুর নেতৃত্বে। এই দৃশ্য ধারণ করতে গেলে এক সাংবাদিকের ওপর হামলা চালান তাঁর ভাই ইকবাল হক স্বপন ও ভাতিজা তানভির হক তুরিনসহ ১০-১৫ জন। এই ঘটনায়ও গজারিয়া থানায় পৃথক মামলা প্রক্রিয়াধীন।
গজারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজিব খান জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ৭৪ রাউন্ড রাবার বুলেট ও কয়েকটি সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়া হয়েছে। মামলার এজাহারে ১৭ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। মাসুম (২৫) নামে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
Leave a Reply