সুজন চক্রবর্তী, আসাম ( ভারত) প্রতিনিধিঃ-
স্ত্রী, সন্তান সহ পরিবারের ৮ সদস্যকে কুড়ুল দিয়ে কুপিয়ে নৃশংস খুন। মর্মান্তিক এই হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটেছে ভারতের মধ্যপ্রদেশের ছিন্দওয়াড়ার। জানা যায়, হত্যাকারী পরিবারেরই সদস্য। খুনের পর নিজেও গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করে অভিযুক্ত। ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। প্রকাশ, মধ্যপ্রদেশের ছিন্দওয়াড়ার তামিমার কাছে জঙ্গল ঘেরা এক আদিবাসী গ্রামে চলে এই হত্যাকান্ড। পুলিশের তরফে জানা যায়, মঙ্গলবার (২৮ মে) রাত ৩টায় এই কান্ড ঘটায় ওই পরিবারেরই সদস্য দীনেশ। বাড়ির সকলে যখন ঘুমে অচেতন ঠিক সেই সময় কুড়ুল দিয়ে পরিবারের একের পর এক সদস্যকে খুন করে সে। এই হামলায় গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অভিযুক্তের ১০ বছরের বালক। যদিও ঠিক কি কারণে দীনেশ এমন কান্ড ঘটাল তা এখন ও জানা যায়নি। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মানসিক অসুস্থ ছিলেন অভিযুক্ত। যার জন্য চিকিৎসা ও করাচ্ছিলেন তিনি। ভয়াবহ এই হত্যাকান্ডের কথা প্রকাশ্যে আসার পর স্বাভাবিকভাবেই আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায়। এ ঘটনায় মৃতরা হলেন দীনেশের ভাই, স্ত্রী ও সন্তান। স্থানীয়দের দাবি, ভোর রাতে ওদের বাড়ি থেকে হঠাৎ কান্নাকাটি ও চিৎকারের শব্দ শোনা যায়। গ্রামবাসীরা ছুটে এলে দেখা যায় রক্তে ভেসে যাচ্ছে গোটা ঘর। গ্রামবাসীদের চলে আসায় বাড়ি থেকে জঙ্গলে পালিয়ে যায় দীনেশ। পরে বাড়ি থেকে কিছু দূরে উদ্ধার হয় তাঁর ঝুলন্ত দেহ। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ছিন্দওয়াড়া পুলিশ।