মোঃ সোহেল কবির,স্টাফ রিপোর্টারঃ-
দেশের সর্ব বৃহৎ বাংলা নিউজ পোর্টাল ‘দেশচিত্র’ বিজয় দিবস (৫২ তম বর্ষ) উপলক্ষ্যে প্রবন্ধ প্রতিযোগিতা আয়োজন করে। প্রতিযোগিতায় দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তরুণ শিক্ষার্থী এবং অন্যান্য পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করেছে। এই আয়োজনে ”তারুণ্যের ভাবনায় দেশের চিত্র: আজ ও আগামী” শিরোনাম নির্ধারণ করা হয়।
গত বুধবার (১৭ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় অফিসিয়ালি এই আয়োজনের বিজয়ীদের তালিকা প্রকাশ করা হয়। এতে প্রথম স্থান অর্জন করেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তারিকুল ইসলাম। দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেন রাজশাহীর মো. আখতারুল ইসলাম এবং তৃতীয় স্থান অর্জন করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মো. মারুফ মজুমদার।
এছাড়া যথাক্রমে চতুর্থ স্থান অর্জন করেন অলোক আচার্য, পাবনা। পঞ্চম স্থান অর্জন করেন ইমরুল ইসলাম, নারায়ণগঞ্জ। ষষ্ঠ স্থান অর্জন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হাবিবা আক্তার ইমি। সপ্তম স্থান অর্জন করেন মো. তাহাছিন আজম, চট্টগ্রাম। অষ্টম স্থান অর্জন করেন ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী মো. সায়েদ আফ্রিদী। নবম স্থান অর্জন করেন তাসফিয়া বিনতে আহমেদ, উত্তরা, ঢাকা এবং দশম স্থান অর্জন করেন যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আসাদুজ্জামান নূর।
প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকারী তারিকুল ইসলামের কাছে তাঁর বিজয়ী হওয়ার অনুভূতি জানতে চাইলে তিনি বলেন, নতুন বছরের পাওয়া না পাওয়ার হিসাব করছিলাম , ঠিক তখনই “দৈনিক দেশচিত্র “পত্রিকা থেকে প্রথম হবার খবরটি পেলাম।এই সংবাদটি যে আমার জন্য কতটা আনন্দ ও প্রাপ্তির তা বলে বোঝানো সম্ভব নয়।লেখালেখির জন্য এই অর্জন, সাংবাদিকতা বিভাগের একজন শিক্ষার্থী হিসাবে আমাকে আরও বেশি অনুপ্রেরণা যোগাবে।
প্রতিযোগিতায় ২য় স্থান অর্জনকারী মোঃ আখতারুল ইসলাম খন্দকার বলেন, দেশচিত্রের আয়োজনে একটি লিখা পাঠিয়েছিলাম। যদিও এই লিখা পাঠানোর বিষয়টি ভুলেই গিয়েছিলাম। কিন্তু হঠাৎ রাত দশটার কিছু আগে একটা পেলাম আর জানতে পারলাম আমি এই প্রতিযোগিতায় ১ম থেকে ১০ম এর মধ্যে ২য় স্থান অধিকার করেছি। যেটা চিন্তা করিনি। ঠিক ঐ মুহুর্তে আনন্দে আমার মানুষিক অনুভূতি প্রকাশ করার ভাষা হারিয়ে ফেলেছি। এমন একটা প্রাপ্তি আমার লিখা-লিখিতে আরও প্রাণবন্ত ফিরে পাবে বলে মনে করি। আর এই উদ্যোগের জন্য দেশচিত্রের পরিবারকে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।
এই আয়োজনে বিজয়ী হওয়ার অনুভূতি জানতে চাইলে তৃতীয় স্থান অর্জনকারী মোঃ মারুফ মজুমদার বলেন, দেশের অন্যতম উদীয়মান সংবাদ মাধ্যম দৈনিক দেশচিত্র। যা সমগ্র দেশব্যাপী এই বুদ্ধিবৃত্তিক আয়োজন করে। এখানে অংশগ্রহণ করতে পারাটা যেমন সৌভাগ্যের; তেমনি প্রথম তিনজনের সারিতে থাকার অনুভূতি লিখে প্রকাশ করা দুরূহ! একটি কথাই বলব— সৃষ্টিশীল, সু-চেতনার নব উন্মেষের প্রাক্কালে দৈনিক দেশচিত্র’কে এমন সুন্দর আয়োজনের জন্য জানাই অনিমেষ কৃতজ্ঞতা। এমন আয়োজন আরো হউক।
আরেক বিজয়ী ইমরুল ইসলাম জানান, অনুভুতি: সত্যিই ভালো লাগছে। আর অবশ্যই যে কোন প্রতিযোগীতায় অংশগ্রহণটাই প্রথমত আনন্দের। আর অংশগ্রহণ করে বিজয়ী হওয়ার আনন্দ সেটাতো আরো বেশী উদ্দীপনার। দৈনিক দেশচিত্র’কে ধন্যবাদ এতো সুন্দর একটি আয়োজনের জন্য। ভবিষ্যতে এরকম আরো আয়োজন করে আমার মত অনেককেই প্রতিযোগীতায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে তাদের মেধা ও সৃজনশীলতা প্রকাশে সুযোগ পাবে বলে আমার বিশ্বাস। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট কৃতজ্ঞতা জানাই।
প্রতিযোগিতার আয়োজনের বিষয়ে দেশচিত্র’র প্রকাশকের কাছে জানতে চাইলে কাজী জসিম উদ্দিন বলেন, দেশচিত্র একটি সৃজনশীল ও তারুণ্য নির্ভর গণমাধ্যম। আমরা সবসময় তারুণ্যের জয়গানকে গুরুত্ব দিয়ে থাকি। কেননা, তাঁরাই আমাদের দেশের বড় সম্পদ। তাঁদের হাত ধরেই আমাদের আগামীর পথ চলা। তাই তাঁদের ভাবনা, তাঁদের সুপ্ত প্রতিভা বিকাশের লক্ষ্যে আমাদের এই আয়োজন। আমি বিশ্বাস রাখি, এদেশের তরুণ প্রজন্ম সোনার বাংলা গড়ার অন্যতম অংশীদারী হয়ে উঠবে এবং বিশ্ব দরবারে দেশের সুনাম অর্জন করবে।
এই বিষয়ে দেশচিত্র’র সম্পাদক, ওয়াহিদুজ্জামান জানান, তারুণ্য মানেই আগামীর বাংলাদেশ। আর সেই তারুণ্য কিংবা তরুণ প্রজন্ম আগামীর বাংলাদেশ নিয়ে কী ভাবছে, তাঁরা কতটুকু প্রস্তুত আগামীর বাংলাদেশ গড়তে। সেটি জানতে এবং জানাতে দেশচিত্রের এই আয়োজন। তাই আমরা চাইব, আমাদের দেশে তরুণ প্রজন্মকে আগামীর জন্য গড়ে তুলতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ উদ্যোগ নিবেন। এদেশের তরুণ প্রজন্মের অন্তরে জুড়ে থাকুক দেশচিত্র’র নাম, এটাই আমাদের প্রত্যাশা।
উল্লেখ্য, উক্ত প্রতিযোগিতায় প্রথম, দ্বিতীয় এবং তৃতীয় সহ মোট ১০ জনকে পুরস্কৃত করার ঘোষণা দেওয়া হয়।
Leave a Reply