মোঃ নাসির উদ্দিন, গলাচিপা, পটুয়াখালী প্রতিনিধিঃ-
পটুয়াখালী জেলা গলাচিপা উপজেলার গোলখালী ইউনিয়নের কিসমত হরিদেবপুর ১নং ওয়ার্ডের জমিতে আদালত স্থিতাবস্থা বজায় রাখার নির্দেশ দিলেও তা অমান্য করে স্থাপনা নির্মাণ কাজ চালানোর অভিযোগ উঠেছে নেপাল চন্দ্র দাস (৫৭) পিতা: মৃত: সুধীর চন্দ্র দাস ও সুখলাল চন্দ্র দাস (৭৫), পিতা: মৃত: জুরান চন্দ্র দাস গং যাহার এম পি মামলা নং ৪৬/২০২৪ এতে আরেক পক্ষের মধ্যে অসন্তোষ বিরাজ করছে।
এর প্রতিকার চেয়ে জমির ওয়ারিশি সূত্রে মালিকানা দাবিদার নওমুসলীম মোঃ কাওসার (৪০), পিতা: সুভাস চন্দ্র দাস, ওরফে আবু হেনা মোস্তফা কামাল সাং ১নং ওয়ার্ড, হরিদেবপুর, উপজেলা: গলাচিপা, জেলা: পটুয়াখালী। থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন এবং বেশ কয়েক বার স্থানীয় শালিস মিমাংসার চেষ্ঠা ব্যথ হওয়ার পরে বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করা হয় যাহার এম পি মামলা নং ৪৬/২০২৪। মামলাটি আমলে নিয়ে গত ৩১/০১/২০২৪ইং মামলাটির রুজু করা হয়, রুজু করা হলে বিজ্ঞ আদালত উক্ত জমিতে ১৪৪, ১৪৫ ধারা জারী করেন। বাদীর অভিযোগ, প্রতিপক্ষের লোকজন প্রভাবশালী ভাড়াটে লোকজনের সহায়তায় আদালতের নির্দেশ অমান্য করে নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। জানা গেছে, গলাচিপা উপজেলার গোলখালী ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের মৌজা: কিসমত হরিদেবপুর, জে. এল. নং ১৯, এস. এ খতিয়ান নং ১৩৯ হালে বি এস খতিয়ান নং ০৩, দাগ নং ৫২০, উক্ত দাগে জমির পরিমান ৩.৮৩ একর। খতিয়ানভুক্ত মোট জমি ৩২ শতাংশ ৫২০ দাগের জমির ক্রয় সূত্রে মালিক সুভাষ চন্দ্র দাস ওরফে আবু হেনা মোস্তফা কামাল ও তাদের পরিবারের সদস্যরা। এ নিয়ে ২০২৪ সালে গলাচিপা উপজেলা আদালতে নেপাল চন্দ্র দাস গংদের বিরুদ্ধে ফৌজদারী কার্যবিধি মামলা করেন মোঃ কাওসার। (এম পি মামলা নং ৪৬/২০২৪)। মোঃ কাওসার তার পত্রিক সম্পত্তি মালিক হইয়া সেখানে স্থাপনা নির্মানের কাজ শুরু করেন। এতে বিবাদী পক্ষের সঙ্গে তার বিরোধ দেখা দেয়। বাদী পক্ষ গত ৩১/ ০১/২০২৪ ইং তারিখে ওই জমিতে অবৈধ অনু প্রবেশ, জবর দখল, স্থাপনা নির্মাণ, মাটি কাটা এবং ভূমির আকার পরিবর্তনের বিরুদ্ধে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আবেদন করেন। আদালত ওই জমিতে উভয়পক্ষের ওপর স্থিতাবস্থা বজায় রাখার নির্দেশনা দিয়েছেন। কিন্তু নির্দেশনা মানছেনা বিবাদী পক্ষ। ওই পক্ষের নেপাল চন্দ্র দাস গংসহ গত ০১/০২/২০২৪ইং তারিখে ওই জমিতে স্থাপনার কাজ শুরু করেন। এতে বাদী পক্ষ বাধা দিলে বিবাদী পক্ষ ক্ষিপ্ত হয়। এছাড়া বিবাদীরা স্থানীয় প্রভাবশালী লোকজনকে ভাড়া করে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। এ বিষয়ে গত ০৭/০২/২০২৪ইং ভুক্তভোগী বাদীপক্ষ মোঃ কাওসারের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন যে, আমি এই জায়গার মালিক দখলদার থাকা সত্তেও আমাকে তোয়াক্কা করছে না এমনকি আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্তেও প্রভাব খাটিয়ে নির্মান কাজ করছে। এ বিষয়ে গত ০৭/০২/২০২৪ইং বিবাদীপক্ষ নেপাল চন্দ্র দাস, সুকান্ত চন্দ্র দাসের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন যে, থানার প্রতি আমার আস্থা নেই এবং গণমাধ্যমের প্রতিও আমার আস্থা নেই, তার গায়ের বলেই ও প্রভাশালীদের ছত্রছায়ায় থেকে স্থাপনার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। আদালতের নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে তিনি বলেন, এ নিষেধাজ্ঞা দিয়ে আমাদের কাজ বন্ধ রাখা যায় না। এ বিষয়ে জানতে চাইলে গলাচিপা থানার অফিসার ইনর্চাজ (ওসি) বলেন যে, আমি শুনেছি এবং বিষয়টি আমি দেখবো। এস আই ফয়েজ ঘটনাস্থলে গিয়ে বিবাদীদের কাজ বন্ধ রাখতে বলেন, কিন্তু বিবাদীরা আইনের কোনো তোআক্কা করছে না।
Leave a Reply