রিশেল তন্ময়,বিনোদন প্রতিবেদকঃ-
আন্তর্জাতিক সাহিত্যাঙ্গনের পরিচিত মুখ বাংলা ভাষার দ্রোহের কবি ও কথাশিল্পী কাজী জহিরুল ইসলামের ৫৭ তম জন্মদিন ১০ ফেব্রুয়ারি । বাংলা কবিতায় ক্রিয়াপদহীন কবিতার প্রবর্তক হিসাবে বাংলা সাহিত্যাঙ্গনে তার নাম বিশেষভাবে আলোচিত। ১৯৬৮ সালের এই দিনে তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার খাগাতুয়া গ্রামে,মাতুলালয়ে, জন্মগ্রহণ করেন কবি কাজী জহিরুল ইসলাম। তার প্রকাশিত গ্রন্থসংখ্যা ৯০ এর অধিক। এর মধ্যে কবিতাসমগ্র ১,২,৩ সহ মোট ৩৯ টি কবিতার বই। কবিতা ছাড়াও তার প্রবন্ধ এবং ভ্রমণ রচনা ব্যাপকভাবে পাঠক নন্দিত। ২০২৩ সালে তিনি নিউইয়র্কস্থ শ্রী চিন্ময় সেন্টার কর্তৃক ‘পিস রান টর্চ বিয়ারার’ অ্যাওয়ার্ডসহ দেশে বিদেশে অসংখ্য পুরস্কার ও সম্মাননায় ভূষিত হন। পুলিৎজার বিজয়ী মার্কিন কবি রে আর্মান্ট্রাউটের নির্বাচিত কবিতার অনুবাদ করেন তিনি, দ্বিভাষিক এই বইটি যৌথভাবে প্রকাশ করে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েজলিয়ন ইউনিভার্সিটি প্রেস ও বাংলাদেশের অগ্রদূত অ্যান্ড কোম্পানি। এ ছাড়া তিনি এজরা পাউন্ড ও জালালুদ্দিন রুমির কবিতা অনুবাদ করেন।
তার রচিত ‘ক্রিয়াপদহীন ক্রিয়াকলাপ’ গ্রন্থটি ভারত থেকে বাংলায় ও পরে উড়িয়া ভাষায় প্রকাশিত হয়। বাংলা কবিতার ছন্দ-প্রকরণের ওপর তার বিষ্ময়কর নিয়ন্ত্রণ তাকে একজন প্রকরণ-বিশারদে পরিণত করেছে। বহু জ্যেষ্ঠ কবিও তার কাছে ছন্দ শেখার আগ্রহ প্রকাশ করেন। তিনি মাত্রাবৃত্ত ও স্বরবৃত্ত ছন্দে যথাক্রমে ‘ভোরের হাওয়া’ ও ‘শেষ বিকেলের গান’ গ্রন্থ দুটি রচনা করে বাঙালি কবি ও আবৃত্তিশিল্পীদের প্রশংসা অর্জন করেছেন। এ-বছর বাংলা একাডেমির বইমেলায় প্রকাশিত হয়েছে তার ‘ভ্রমণ সংগ্রহ’, রয়েল সাইজের প্রায় ১১০০ পৃষ্ঠার এই গ্রন্থে তার সব ভ্রমণরচনা একসঙ্গে পাওয়া যাচ্ছে। এ ছাড়া অনন্যা বের করেছে সাড়ে তিনশ পৃষ্ঠার প্রবন্ধের বই ‘হিলসাইডে শিল্পের আড্ডা’, ইত্যাদি গ্রন্থ প্রকাশ বেশ করেছে ‘হেশেলের বিশ্বভ্রমণ’ ও ‘রুমির রুবাইয়াত’। সাত ভাষাশহীদকে নিয়ে লেখা গল্পের বই ‘উত্থানপর্বের গল্প’ গ্রন্থ রচনার জন্য বহুমাত্রিক লেখক হাসনাত আবদুল হাই তাকে ‘ভাষাশিল্পী’ উপাধিতে ভূষিত করেন। কাজী জহিরুল ইসলাম বর্তমানে জাতিসংঘের কর্মসূত্রে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে সপরিবারে বসবাস করছেন। তার স্ত্রী মুক্তি জহির জাতিসংঘ সদর দফতরের একজন এইচআর স্পেশ্যালিস্ট। পুত্র কাজী আবরার জহির একটি মার্কিন কোম্পানির সিইও, কন্যা কাজী সারাফ জল স্কুলের ছাত্রী। কবির পিতা কাজী মঙ্গল মিয়া এবং মাতা সোফিয়া কাজী ঢাকায় বসবাস করেন।
Leave a Reply