1. admin@dailypratidinerbarta.com : admin :
বুধবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৪, ১০:১৩ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
মুন্সীগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি পরিদর্শন রাজউক প্লান আর অনুমোদনহীন ভবনে ঝুকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে নাসিক ৩ নং ওয়ার্ড সন্ত্রাস, নৈরাজ্য, চাঁদাবাজ, দখলদারের বিরুদ্ধে ডেমরা থানা শ্রমিক দলের বিক্ষোভ মিছিল। একটি হারানো বিজ্ঞপ্তি ব্যাগিং পদ্ধতিতে আদা চাষে স্বপ্ন বুনছে রানীশংকৈল উপজেলার আদা চাষিরা পীরগাছায় সাংবাদিকদের সাথে জামায়াতে ইসলামীর মতবিনিময়  মুন্সীগঞ্জে আজ থেকে যৌথ অভিযান অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে শুরু সেনাবাহিনী মুন্সীগঞ্জের কৃতি সন্তান ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি হলেন আওলাদ হোসেন পনির মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে জমি দখল করে বাড়ি নির্মাণের অভিযোগ শেখ হাসিনার নামে যত মামলা

সংসারের হাল ধরতে অটোরিকশা চালায় শিশু জিসান

  • আপডেট সময় : শনিবার, ৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩
  • ৯৭ বার পঠিত

আহসান হাবীব স্টাফ রিপোর্টারঃ-

নাম জিসান। বয়স নয় কি দশ। মলিন মুখখানির দিকে তাকালে যে কারও মায়া লাগতে পারে। যে বয়সে হাতে স্কুলবই থাকার কথা, বন্ধুদের সঙ্গে দাপিয়ে বেড়ানোর কথা, খেলাধুলা করার কথা, সে বয়সে কাঁধে তার সংসারের ভার। পেটের তাড়নায় অটোরিকশা নিয়ে ছুটে বেড়াচ্ছেন সড়কের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে। বন্ধুদের চোখ এড়িয়ে তাকে চালাতে হয় অটোরিকশা। জিসান নামের এই শিশুটির জীবনের গল্প এমনই করুণ।
নোয়াখালী সুবর্ণচর উপজেলার চরজুবিলী ইউনিয়নের উত্তর কচ্ছপিয়া গ্রামের হতদরিদ্র পরিবারের সন্তান জিসান।
পরিবারের হাল ধরতে গিয়ে স্কুলে যাওয়া হয়নি জিসানের।
জিসানের অটোরিকশায় চড়তে গিয়েই তার সঙ্গে পরিচয় ও কথা। ধূলিজীর্ণ শুষ্ক চোখেমুখে কী এক অদ্ভূত মায়া লেগে আছে। জিসান বলে, আগে স্কুলে যাইতাম, এখন যাই না। বাবা অসুস্থ, কামাই করতে পারেন না, ভারী কাজও করতে পারেন না। ভারী কাজ করতে গেলে আব্বা হাফাইয়া ওঠেন। তার সপ্তাহে আটশত টাকার ওষুধ লাগে। তাই আমি গাড়ি চালাই। সারাদিন রিকশা চালাইয়া যা উপার্জন করি, তা দিয়া বাবার ওষুধ এবং সংসার চালাই।
তবে জিসানেরও মন চায় আর দশজন বন্ধুর মতো সকাল-বিকেল বিদ্যালয়ের প্রাঙ্গণে ছুড়ে বেড়াতে। হইহুল্লোড় করতে। কিন্তু জীবনের বাস্তবতা তার বড়ই প্রতিকূল। সে জানায়, তারও প্রতিদিন স্কুলে যেতে মন চায়, বন্ধু-বান্ধবদের সাথে খেলাধুলা করে সময় কাটাতে ইচ্ছে করে। কিন্তু দিনশেষে বাড়িতে খাবার নিয়ে ফিরতে হবে, এই ভাবনাও থাকে তার। একদিন কামাই না করলে বাবার ওষুধ কেনা হবে না। তাই মনের কথা সে মনেই সুপ্ত থাকে। তবে সুযোগ পেলে সেও পড়ালেখায় মনোযোগী হতে চায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরও খবর

ফেসবুকে আমরা

© স্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২২ © দৈনিক প্রতিদিনের বার্তা ©
Theme Customized By Shakil IT Park