ফিরোজ শাঁই,নিজস্ব প্রতিনিধিঃ-
নারায়ণগঞ্জের কাচপুর ইউনিয়নের পাঁচ পাড়ায় চাঞ্চল্যকর
জোড়া খুনের মামলায় তিনজন গ্রেফতার হলেও
৩৫ দিনে গ্রেফতার হয়নি নারায়ণঞ্জের কাঁচপুরে দুই ভাইকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা মামলার মূল বাকি আসামিরা এতে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছে নিহতের স্বজন ও স্থানীয়রা, তবে পুলিশ বলছে, আসামিদের গ্রেফতারে মাঠে আছে পুলিশের একাধিক টিম।
গত ২৬ ফেব্রুয়ারি কাঁচপুরের পাচপাড়া এলাকায় জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে চাচাতো ভাইদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে খুন হন আসলাম সানি ও শফিকুল ইসলাম রনি নামে আপন দুই ভাই,এ ঘটনায় জখম হন তাদের মেঝো ভাই রফিকুল ইসলাম, ঘটনার পরই বাড়িতে তালা ঝুলিয়ে সপরিবারে পালিয়ে যান আসামিরা,এ ঘটনায় নিহতদের মেজো বোন,
শামসুন্নাহার বাদী হয়ে, ২৭ ফেব্রুয়ারি,
চাচা মহিউদ্দিন, চাচী মিনারা, চাচাতো ভাই,মস্তফা,মামুন,মফিজুল ইসলাম,মারুফ,চাচাতো বোন,মোর্সেদা,মুক্তা,মাহমুদা,নয় জন, সহ,আর ও অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জন কে আসামি করে সোনারগাঁ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন, ঘটনার প্রায় ৩৫ দিন পরও বেশিরভাগ আসামিই ধরাছোঁয়ার বাইরে এতে ক্ষুব্ধ, আত্মীয়-স্বজন ও স্থানীয়রা।
এলাকাবাসী ও পরিবারের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে মহিউদ্দিন ও তার ছেলেরা ভুক্তভোগীদের নির্যাতন করে আসছে,অভিযুক্তদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানিয়েছেন সন্তানহারা মা জহুরা বেহম, স্ত্রীর কোলেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছিলেন আসলাম সানি, একদিকে সেদিনের দুঃসহ্য স্মৃতি বয়ে বেড়াচ্ছেন, অন্যদিকে ৩ সন্তানের ভবিষ্যৎ নিয়ে দুশ্চিন্তায় দিন কাটছে সনিয়া বেগমের,
এদিকে নিহত রনির স্ত্রী, সানজিদা বেগম ১৫ মাসের সন্তানের ভবিষ্যৎ নিয়ে দুশ্চিন্তায়, অসহায় ভাবে দিন পার করছেন, কি হবে ছেলের ভবিষ্যৎ, কে যোগাবে তাদের মুখের আহার,নিহত পরিবারে, পুরুষ শূন্য, ভয়ে ভয়ে দিন কাটছে তাদের, কখন জানি,তাদের উপর আবার হামলা হয়, দেশবাসী, প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির কাছে বিচার চেয়েছেন তিনি, ১৫ মাসের অবুঝ শিশুর, পিতা হত্যার যেন সুষ্ঠু বিচার হয়।
নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল বলছেন, আসামিরা বারবার স্থান পরিবর্তন করায় গ্রেফতারে সময় লাগছে। তবে আসামিদের ধরতে অভিযান চলছে বলে জানান তিনি। অবশ্য জোড়া খুনের মামলায় গ্রেফতার তিন আসামিকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলায় দুই ভাইকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় মোর্শেদা বেগম (৩০) নামে এক আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বিকালে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতার মোর্শেদা বেগম সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ফারুখ হোসেনের স্ত্রী,তিনি মামলার এজাহারভুক্ত ৬ নম্বর আসামি এবং আসামি মোস্তফার বোন।
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের কাঁচপুর ইউনিয়নের পাঁচপাড়া এলাকায় জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে দুই ভাইকে কুপিয়ে হত্যা ও অপর ভাইকে কুপিয়ে আহত করার ঘটনায় মো. মামুনকে (৩০) গ্রেফতার করেছে ডিবি পুলিশ। রোববার (৫ মার্চ) দুপুরে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নারায়ণগঞ্জ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিবি) তরিকুল ইসলাম।
সংবাদ সম্মেলনে নারায়ণগঞ্জ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিবি) তরিকুল ইসলাম জানান, তথ্য প্রযুক্তি ও গোপন তথ্যের ভিত্তিতে মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর থেকে শনিবার (৪,মার্চ) তাকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত মামুন নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের কাঁচপুর ইউনিয়নের পাঁচপাড়া এলাকার মহিউদ্দিনের ছেলে, সে নিহতদের আপন চাচাতো ভাই,সে মামলার এজারভুক্ত তিন নম্বর আসামি,
সোনারগাঁ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মাদ আহসান উল্লাহ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘মামলার ২ নম্বর আসামী মস্তফা, ৩ নম্বর আসামী মামুন,,৬ নম্বর আসামী মোর্সেদাকে,গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত চাচা মহিউদ্দিন ও তার পরিবারের বেশিরভাগ সদস্যরা পলাতক রয়েছেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, চাচা মো. মহিউদ্দিন ও তার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল তিন ভাইয়ের। এর মধ্যে তাদের বাড়ির পাশ দিয়ে একটি সড়কের ড্রেন নির্মাণের কাজ চলছে। ওই ড্রেনে পাইপ স্থাপন করতে চেয়েছিলেন আসলাম সানি। এ নিয়ে চাচাতো ভাই মোস্তফার সঙ্গে বাগবিতণ্ডা হয়। পরে মোস্তফার নেতৃত্বে অস্ত্র নিয়ে সানির ওপর হামলা করা হয়। তাকে রক্ষা করতে রনি ও রফিকুল এগিয়ে এলে কুপিয়ে জখম করা হয়। বিকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আসলাম ও রনি মারা যান। হত্যাকাণ্ডের পর মহিউদ্দিন, ও তার পরিবার সদস্যরা পালিয়ে যান।
Leave a Reply