শেখ মাহবুব,সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধিঃ-
সিরাজগঞ্জের সলংগা আগুরপুর গ্রামে শত বছরের গ্রামীন রাস্তা বন্ধ করায় দুই গ্রামের শতাধিক পরিবারের সদস্যরা চলাচল করতে পারছেন না। উপজেলার আগুরপুর ও কালীকাপুর গ্রামের মানুষের এক মাত্র চলাচলের রাস্তায় উপরদিয়ে কলার গাছ লাগীয়ে এবং কাঠের খুটি পুতে বন্ধ করে দিয়েছে এলাকার প্রভাবশালী চাচা ওভাতিজা । এতে ঐ রাস্তাটি দিয়ে স্কুল ও মাদাসার শিক্ষার্থীসহ দুই গ্রামের শতাধিক পরিবারের সদস্যরা চলাচল করতে পারছেন না। চরম দুর্ভোগে পড়েছেন শিক্ষার্থীরাসহ ঐ এলাকার জনগণ। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়,আগুর পুর সরকারী প্রথমিক বিদ্যালয় থেকে কালীকাপুর পর্যন্ত গ্রামীন এই রাস্তা দিয়ে পাকিস্তান আমল থেকে হাজার হাজার মানুষের চলাচলের রাস্তা। হঠাৎ গত শনিবার সকাল থেকেই জণগুরুত্বপূর্ণ এই রাস্তার উপর গাছ ও বাঁশের খুটি পুতে বন্ধ করে দিয়েছে মৃত্যু রৌবের ছেলে হামিদ( ৫০) ও তার ভাতিজা, আসরাফ আলীর ছেলে খালেক (৩৩) নামের দুই ব্যক্তি।
কালীকাপুর গ্রামের বেশ কয়েক জন অভিযোগ করে বলেন, তাদের বাপ-দাদার আমলের পূর্ব থেকে এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করে আসছে এবং হাট-বাজারেও যাওয়া হতো আমাদের ছেলে- মিয়েরা এই রাস্তা দিয়ে স্কুল কলেজ ও মাদরাসায় যায় এমনকি আমরাও মসজিদে নামাজ পরতে যাই, তাই রাস্তাটি বন্ধ করায় চরম বেকায়দায় পড়েছি।প্রতিদিন স্কুল ও মাদ্রাসা, জরুরি চিকিৎসা এবং শিক্ষার্থীরা আসা যাওয়া করে। ভুক্তভোগীরা আরো বলেন এখানের প্রায় সবাই খেটে খাওয়া দিনমজুর শান্তিপ্রিয় গরিব মানুষ। যারা রাস্তাটি বন্ধ করেছেন তারা স্থানীয় নয় অনত্রর থেকে এসে এখানে বাড়ি করে এবং হঠাৎ করে তারা তাদের জমি দাবি করে রাস্তাটি দখল করে নেন। একারণে চলাচল করতে পারছি না আমরা এমনকি প্রভাবশালীদের ইন্দনে রাস্তা বন্ধ করে দেওয়ায় সীমাহীন দুর্ভোগে পড়েছি।
এ বিষয়ে হামিদের কাছে জানতে চাইলে,তিনি রাস্তা বন্ধ করেছেন বলে স্কীকার করে বলেন, আগে যার সম্পত্তি ছিলো সে হয়তো রাস্তা হিসাবে ছেরে দিয়েছে,কিন্ত আমি এই সম্পত্তি কিনে নিয়েছি তাই আমার জায়গার উপর দিয়ে কাউকে আর চলাফেরা করতে দিবো না ।
রাস্তার ছবি তোলার সময় সাংবাদিকদের সাথে অসধ আচারন করে হামিদের ভাতিজা খালেক এবং ছবি তুলতে বাঁধা দেয়।
এ বিষয় রামকৃঞ্চপুর ইউনিয়ন পরিষদের চিয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম হিরো বলেন, আগুরপুর কবরস্থান হতে কালীকাপুরের ঐ রাস্তা দিয়ে হাজার হাজার মানুষ চলাফেরা করে তাই মানুষের চলাচলের রাস্তা কেউ বন্ধ করতে পরে না । আমি জরুরী কাজে ঢাকায় যাচ্ছি, ঘুরে এসে এলাকার মুরুবীদের নিয়ে মিমাংসা করে চলাচলের রাস্তা খুলাসা করে দেওয়া হবে ।
উল্লাপাড়া উপজেলা নির্বহী কর্মকর্তা উজ্জাল হোসেন বলেন, আগুরপুরের রাস্তা বন্ধের বিষয় কোনো অভিযেগ পাই, অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।
Leave a Reply