উম্মে কুলসুম মৌ দিনাজপুর জেলা প্রতিনিধিঃ-
দিনাজপুর জেলার বীরগঞ্জ উপজেলার ব্যস্ততম সড়কগুলো মধ্যাহ্নের সময়গুলোতেও থাকে ভীষণ জানজোট পূর্ণ।কিন্তু সাময়িক তাপপ্রবাহের কারণে দেখা যাচ্ছে ভিন্ন চালচিত্র।গত সপ্তাহের তুলনায় এ সপ্তাহে তাপমাত্রা বেড়েই চলেছে।মাঝখানে কিছুদিন ঝড় বৃষ্টি ও মেঘলা আকাশের কারণে আবহাওয়া সহনীয় পর্যায়ে থাকলেও টানা ৫ দিন ধরে রোদের তীব্রতা বেড়েই চলেছে।অত্যধিক রোদের কারণে মানুষ শুধুমাত্র প্রয়োজনীয় কাজে ঘরের বাইরে বের হচ্ছে।ফলে দুপুর ১২ টা থেকে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত প্রধান সড়কগুলোতে যানবাহনের চাপ অনেকাংশে কম।তাপমাত্রা বিরাজ করছে ৩৮-৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস।স্কুল ও কলেজ শিক্ষার্থীরা এবং শহরে উপার্জনের তাগিদে থাকা মানুষগুলোকে বাধ্য হয়ে এই প্রতিকূল আবহাওয়ায় জীবনযাপন করতে হচ্ছে।
বীরগঞ্জ ঠাকুরগাঁও বাসস্ট্যান্ড রোডের একজন ভ্যানচালক শরিফুল ইসলাম জানায়,কোনো উপায় নেই পেটের দায়ে তাদেরকে প্রচন্ড ঘাম ও গা ঝলসানো রোদ সয়ে নিতে হচ্ছে।মানুষ ঘর থেকে কম বের হচ্ছে বলে তাদের আয়ও কমেছে খানিকটা।তবুও অপেক্ষা করতে হচ্ছে যাত্রীর জন্য।রাস্তার পাশে থাকা কিছু বড় গাছ পেলে সেখানে থেমে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নেয় এবং কিছুক্ষণ পর পর গামছা দিয়ে ঘাম মুছা ও ঠান্ডা পানি পানের মাধ্যমে গরম থেকে রেহাই পাওয়ার উপায় খুঁজে।রাস্তার ধারে ধারে বিক্রি হচ্ছে আঁখের শরবতসহ বিভিন্ন ফলের শরবতও যা পথচারীদের সহায়ক হিসেবে কাজ করছে।
বীরগঞ্জ থানা মার্কেটের আরেকজন গবাদিপশুর ঔষধ বিক্রেতা মোঃ মুফাখাইরুল ইসলাম জানায়,প্রচন্ড দাবদাহের কারণে পোহাতে হচ্ছে চরম দূর্ভোগ।অত্যধিক গরমে বৈদ্যুতিক ফ্যানের বাতাসও গায়ে লাগেনা এবং ঘন ঘন বিদ্যুৎ চলে যাওয়ার কারণে সবসময় ঘামেই ডুবে থাকে শরীর।বাংলা এই জৈষ্ঠ্যমাস চলাকালীন সময়ে বৃষ্টির প্রত্যাশা থাকলেও পোহাতে হচ্ছে সকলকে সূর্যালোকের প্রচন্ড দাবদাহ।
Leave a Reply